ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দিল্লি গেলেন মমতা, বৈঠকের পর যাবেন আজমীর-পুষ্কর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২২
দিল্লি গেলেন মমতা, বৈঠকের পর যাবেন আজমীর-পুষ্কর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: চলতি বছরে আবারও ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সফরে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতেই মমতার এবারের দিল্লি সফর।

তবে এবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে সফরে গিয়েছেন তিনি।

আসন্ন জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠতে যোগ দিতেই দিল্লি গেলেন মমতা। দিল্লি সফরের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। দিল্লিতে নেমে প্রথমেই তিনি যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানেই সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন মোদী। বৈঠকে দেখা হলেও মোদী-মমতার একান্ত সাক্ষাৎ হবে না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।  

দিল্লি যাওয়ার আগে এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলাদা কোনো বৈঠক হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক শেষ করে সোমবার দিল্লিতেই থাকবেন মমতা। ৬ তারিখ দিল্লি থেকে রাজস্থান যাবেন। সময় পেলে অজমীর শরিফ এবং পুষ্কর যেতে পারেন বলে নিজেই জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুই ধর্মস্থানে বিশেষ রেল পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিলাম। বহুদিন ধরেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল।

তৃণমুল সূত্রের খবর, রাজস্থানের পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে পূজা দেবেন মমতা। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। একইভাবে আজমীর শরিফ দরগাতেও চাদর চড়াবেন বলে জানা গিয়েছে।  

দিল্লি রওনা হওয়ার আগে মমতা বলেন, এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই। দরগা থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি এসেছিলেন আমার কাছে। তাই রাজস্থানে যাচ্ছি যখন, তখন আমিও ওখানে যাব বলেই ঠিক করেছি।

তবে ৬ তারিখ রাজস্থানে গেলেও ওই দিনই ফের দিল্লিতে ফিরে আসবেন তিনি। সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ মমতার বৈঠক হতে পারে। ৭ তারিখ দিল্লিতে অবস্থানরত নিজের দলের সাংসদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে কোন কোন ইস্যুতে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে হবে বা কোন ইস্যুতে দল কী অবস্থান নেবে, সে সব নিয়েই রণকৌশল নির্ধারণ করে দেবেন দল প্রধান।

এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দিল্লি সফরে আছেন তার ভাইপো তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজনৈতিক দিক থেকে মমতা-অভিষেকের একসঙ্গে এই দিল্লি সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। সেই উপলক্ষে মোদী সরকার ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। ২০২৩ সালে কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ ভারতের নানাপ্রান্তে জি ২০-এর ২০০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা থাকবেন সেই বৈঠকগুলোতে। সেই বৈঠক নিয়ে আলোচনার জন্যই ভারতের ৪০টি রাজনৈতিক দলের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেই কারণেই সোমবার দিল্লি গেলেন মমতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।