ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় ‘১১তম বাংলাদেশ বইমেলা’ শুরু সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
কলকাতায় ‘১১তম বাংলাদেশ বইমেলা’ শুরু সোমবার সংবাদ সম্মেলন। 

কলকাতা: আগামী সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কলকাতায় শুরু হতে চলেছে ‘১১তম বাংলাদেশ বইমেলা’। চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, সম্মিলিত উদ্যোগে কলকাতার কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বাণিজ্য শাখার সচিব শামসুল আরিফ ও প্রেস সচিব রঞ্জন সেন।

সোমবার বইমেলার উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী, নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুসহ বিশিষ্টরা। প্রতিদিন বইমেলা চলবে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

১১তম বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার বইপাড়া নামে খ্যাত কলেজ স্ট্রিটের, কলেজ স্কোয়ারে। অংশ নেবে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৬৫টি বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থা। এছাড়া দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে বাংলাদেশ বইমেলায় অংশ নেবে শিশু একাডেমি।

২০১১ সালে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশ বইমেলার। সূচনালগ্নে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র প্রদর্শশালা কক্ষে। প্রথমবার মেলায় অংশ নেয় ১৮টি প্রকাশনা সংস্থা। পরের দুই বছর গগনেন্দ্রে অংশ নেয় ২২টি প্রকাশনা সংস্থা। শুরু হলেও গগনেন্দ্রে মেলাটিকে রাখা যায়নি। ২০১৪ প্রথম বইমেলা স্থানান্তরিত হয়ে চলে আসে কলকাতার নন্দন চত্বরে। অংশ নেয় ৪২টা প্রকাশনা সংস্থা।

এরপর বাংলাদেশ বইমেলা হয়েছে রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে। অংশ নেয় ৬৫টি প্রকাশনা। মাঝে মহামারি করোনা কারণে এক বছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় কলেজ স্কোয়ারে।

১১তম মেলায় প্রতিদিন অংশ নেবেন বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকাররা। উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্বরা। মেলা মঞ্চে প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার কবিতা পাঠ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক আয়োজনে থাকছে ভাষা ও চেতনা সমিতি।

আয়োজকদের মতে, শুধু লাভের কারণে বাংলাদেশ বইমেলা নয়। ভারতের বই যেমন বাংলাদেশে পাওয়া যায়, তেমন বঙ্গবাসীর কাছে পরিচিতি ঘটানো বাংলাদেশের বই। ফলে লেখক-পাঠকদের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার মনের আদান-প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক লাভ মিলিয়ে এবারও পশ্চিমবঙ্গের পুস্তকপ্রেমীদের নজর করবে বাংলাদেশ বইমেলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।