ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদির ‘ভবিষ্যৎ ভাগ্য’ জানালেন জ্যোতিষী রুদ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
মোদির ‘ভবিষ্যৎ ভাগ্য’ জানালেন জ্যোতিষী রুদ্র

কলকাতা: আর কয়েকিদন পর ভারতে নির্বাচন। এ উপলক্ষে পুরো ভারত চষে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ নেতাকর্মীরা।

স্বয়ং দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের মাঠে নেমেছেন কোমর বেঁধে। নির্বাচনী প্রচারণার ধারাবাহিকতায় তিনি আসছেন পশ্চিমবঙ্গে।

রোববার (৭ এপ্রিল) ষষ্ঠবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে এসে মোদি যোগ দেবেন জলপাইগুড়ির ধূপড়গুড়ি জনসভায়। বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় ও দার্জিলিঙের রাজু বিস্তারের হয়ে তিনি প্রচারণা চালাবেন।

এর আগে মোদি কোচবিহার এসেছিলেন গত বৃহস্পতিবার। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।

তার আগে গত মার্চে এ রাজ্যে চারটি জনসভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তার ভবিষ্যৎ কি হবে, জানিয়েছিলেন ভারতের জনপ্রিয় জ্যোতিষী রুদ্রকরণ।

গতকাল শনিবার রাতে তিনি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভবিষ্যৎ ভাগ্য’ সম্পর্কে জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য গণনায় দাবি করেন, মোদির মঙ্গল মহাদশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই নেতৃত্বে ২০২৪ সালে ফের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।  

তিনি আরও দাবি করেন, মোদির নেতৃত্বে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও একটি মেয়াদ যে পাবেন, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

২০২৯ সালের ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন সেটিও জানিয়েছেন জ্যোতিষী রুদ্র। তিনি লিখেছেন, ২০২৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। যিনি এখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে, যোগী প্রধানমন্ত্রী হলে মোদি কোন পদে বসবেন, তা স্পষ্ট করেননি জ্যোতিষী রুদ্র।

যদিও এর আগেই বিজেপির প্রধান সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) একপ্রকার নিশ্চিত করেছে, যোগী আদিত্যনাথই মোদির উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন। কারণ, এবার যদি মোদি জয় পান এটাই হবে তার শেষ মেয়াদ। ফলে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যোগীকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেই বিজেপি ভোটের প্রচারে নামতে পারে।

এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জেলযাত্রা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন রুদ্র। কেজরীওয়ালের ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে অপ্রত্যাশিত ধাক্কার মুখোমুখি হতে হবে কেজরীওয়ালকে।

চলতি বছরের ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় (মদ কেলেঙ্কারি) কেজরীওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া, ২০২২ সালে বিশ্ব বন্যা, ইউরোপে অর্থনৈতিক পতনের প্রাথমিক লক্ষণ, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ফল- প্রতিটি ক্ষেত্রেই রুদ্রর ভবিষ্যতবাণী মিলে গিয়েছিল।  

তবে, বার বার যে সব মিলে যায়, তা কিন্তু না। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রুদ্র দাবি করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। সেটি মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।