ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারদের পরবর্তী শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারদের পরবর্তী শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বর

কলকাতা: বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী তথা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বন্দি পি কে হালদারের মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এখন শুধু সাক্ষী পেশ করার সময়।

মামলার জাজমেন্ট (বিচার) পেতে পাঁচ মাস সময় লাগবে। এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল হতে পারে।  

শনিবার (৩১ আগস্ট) কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পি কে হালদারের মামলাটি উঠেছিল। সেখানে এমনই জানিয়েছেন, ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। হালদারদের পরবর্তী শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বর।
অপরদিকে পি কে হালদার কোর্ট লকাপ থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এখনো কিছু বলার সময় আসেনি, খুব শিগগিরই বলবো।

পি কে (প্রশান্ত) হালদারের মায়ের মৃত্যুর পরে দীর্ঘ সময় পর এদিন কলকাতায় মামলাটি  উঠেছিল। নজর ছিল হালদারের সহযোগী আমানা সুলতান জামিন পায় কি না।  কিন্তু  আমানার আইনজীবী নিজেরাই জামিনের আবেদন বাতিল করে দেন।
আমানার আইনজীবী বিশ্বজিত মান্না বলেছেন, চার্জশিটটা আরেকটু খতিয়ে দেখব। তারপর জামিনের আবেদন করব। অপরদিকে প্রশান্ত ভাই, প্রাণের হালদারের জামিন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোটে খারিজ করে দেয়। বর্তমানে প্রাণের জামিনের বিষয়টি হাইকোর্টে জমা পড়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি হাইকোর্টে উঠবে।  

এর আগে ইডির তরফে জানা গিয়েছিল, এস আলম গ্রুপ ও হাসিনা সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রভাবশালীর নাম নিয়েছিল পি কে হালদার। সেই সব চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। সাক্ষীর ক্ষেত্রে তাদের কি ডাকা হবে? উত্তরে, ইডির আইনজীবী অরিজিৎ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বিচারাধীন। ফলে এখনই এ নিয়ে কোন উত্তর দেবো না। আদালত মনে করলে তাদের সমন পাঠাতেই পারে।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে দেশটিতেই বন্দি রয়েছেন হালদাররা। তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। বর্তমানে পি কে হালদার ও ৫ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে। কিন্তু ইডির পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশি বললেও ফোরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট দেয়নি।

২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে, প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং পি কে হালদার ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতে বন্দি থাকায় সেই রায় কার্যকর হয়নি। এমনকি সেই রায়ের কপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি বলে, জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।