ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলার পর দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এবার উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে বড় পরিসরের তল্লাশি অভিযান।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলো একযোগে অভিযান চালাচ্ছে। মূল লক্ষ্য— অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।
রাজ্যটির তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ধারণা, উত্তরপ্রদেশে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছে। তাদের দাবি, কিছু অনুপ্রবেশকারী চক্রের সঙ্গে বিদেশি অর্থ জড়িত, যা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হুমকি হয়ে উঠছে।
তাদের দাবি, এমন কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দুর্বল করার লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মোটা অর্থের তহবিল আসছে এসব অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেটগুলোর কাছে।
নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়া রাজধানী লখনৌ, গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, মীরাট, কানপুর, সাহারানপুর ও মুজাফফরনগর— এসব শহরে অনুপ্রবেশকারীদের উপস্থিতি বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গুজরাটে ২৬ এপ্রিলের অভিযানে প্রায় দেড় হাজার সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর জানা যায়, তাদের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জনই বাংলাদেশি নাগরিক। বাকি আটককৃতদের অধিকাংশই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
ভারত সরকার নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে এই ধরনের তল্লাশি অভিযান আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
ভিএস/এমজে