ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাংলাদেশি ছিটমহলবাসীর সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন ময়মনা

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১১
বাংলাদেশি ছিটমহলবাসীর সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন ময়মনা

কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ছিটমহলবাসীর সমস্যার সমধান না হওয়ায় এবার তারা বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দিয়েছেন।

গত ২৮ মার্চ দিনহাটায় নৃপেন্দ্রনাথ স্মৃতি পাঠাগারে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে একদা ছিটমহলবাসী ময়মনা খাতুনকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন ।

দীপ্তিমান সেনগুপ্ত আরও জানিয়েছেন, ‘দিনহাটা আসনেই আমরা প্রার্থী দিয়েছি। যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তিনি জন্মসুত্রে ছিটমহলের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি দিনহাটার খাটামারির গৃহবধু। নির্বাচন কমিশন পরিচয় পত্র দিয়েছে বলে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে। বিধানসভায় প্রার্থী হতে গেলে যে সব প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র দিতে হয় তা সবই দেওয়া হয়েছে। ’

সমন্বয় কমিটির দাবি দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের ১১ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে। ইতিমধ্যে তার জোর প্রচারনাও শুরু করে দিয়েছেন।

এদিকে, অসম্ভব এই ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিকদল বিষয়টিকে এবার ভোটে ইস্যু করতে চাইছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জনসভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েকশো ছিটমহলবাসী। ওই সময় তাদের ছবি কলকাতার সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে তারা সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশে এসে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেন মুহম্মদ এরশাদ তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।

বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ভারতে ১১১টি ও ভারতের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৬টি ছিটমহল রয়েছে। সব মিলিয়ে ছিটমহলের বর্তমান জনসংখ্যা কম করে ৩ লাখ।   নেই পানীয় জল, নেই স্বাস্থ্য পরিসেবা, শিক্ষার সুযোগ। আজও তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। এই সব বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা নেমেছেন ভোটের আসরে।

ভোটে হার বা জেতা তাদের লক্ষ্য নয়, অন্তত ভোটকে সামনে রেখে সবাই জানুক তাদের মানবেতর জীবনের কথা। এটাই প্রচারে বলছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।