ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে খরা, উত্তরে বন্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে খরা, উত্তরে বন্যা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ যখন বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো দিন গুনছে, তখন উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা।

পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলে বহু নদীই ফুলে ফেঁপে উঠেছে বৃষ্টির পানিতে।

এতে তিস্তা, জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ছয় বছর পর যখন পশ্চিমবঙ্গের সমতলের মানুষ খরার ভয়ে আতঙ্কিত, তখন বর্ষার দাপটে জলমগ্ন রাজ্যের উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, আলিপুরদুয়ারে এমন বৃষ্টি হয়েছিলো ঠিক ১০ বছর আগে অর্থাৎ, ২০০৫ সালে। এরপর চলতি বছরের এ বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশের বেশ কিছু অঞ্চল।

এদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়তে থাকায় কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লোকজন। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে পানি সংকটের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ট্যাংকারে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সমতলে বাঁকুড়া জেলার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ওপরে চলছে বলে জানা গেছে।


আলিপুরদুয়ারে জলমগ্ন পরিস্থিতিতে চলাফেরার একমাত্র বাহন এখন নৌকা। আলিপুরদুয়ার আবহাওয়া অধিদফতরের প্রধান গোকুল চন্দ্র দেবনাথ জান‍ান, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।

কিন্তু সমতলে কবে বর্ষা শুরু হবে সেই তথ্য দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদফতর।

একদিকে বন্যা অন্য দিকে খরার তীব্রতা চলছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানের পরিভাষায় পাহাড়ে বন্যার পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘ওরোগ্রাফি’। পাহাড় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত ছিলো। পাহাড়ি এলাকার সঙ্গে এর সংযোগ থাকার কারণে প্রচুর জলীয়বাষ্প জমে সেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে বন্যা হলেও বর্ষার দেখা নেই সমতলে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ১১ জুন, ২০১৫
ভিএস/এসএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।