কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর কেটে গেছে বেশ কয়েকদিন। জোট সরকারের অন্যতম সঙ্গী কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৫ জন প্রতিমন্ত্রীর এখনও শপথ নেওয়া বাঁকি।
রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যেরমন্ত্রী মানস ভূঁইয়াকে ৫ প্রতিন্ত্রীর নাম দ্রুত পাঠাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিধায়কের নামের তালিকাও তিনি পাঠিয়েছেন দিল্লির হাইকমান্ডের কাছে। তারপর থেকেই বিধায়কদের মন্ত্রী হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে লড়াই।
সূত্রটি আরও জানাচ্ছে, এই মন্ত্রী হওয়াকে কেন্দ্র করে দিল্লির হাইকমান্ডের কাছে লবিং এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ৫ প্রতিমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে রাজ্য কংগ্রেসের জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠকে ডাকা হয় শাখা সংগঠনগুলির প্রধানদের। মঙ্গলবার হবে জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের বৈঠক। ৫ প্রতিমন্ত্রী ঠিক করাই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য।
এদিকে, জোটের মন্ত্রী সভায় দু’জন কংগ্রেস পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে একজনও উত্তরের জেলাগুলির না হওয়াতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে একাংশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
এদের বক্তব্য, তৃণমূলের উত্তরের জেলাগুলিতে ব্যাপক সাফল্যের মধ্যেও কংগ্রেস এখানে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে। তাই মন্ত্রীসভায় এই অঞ্চলের কংগ্রেস বিধায়কদের প্রতিনিধিত্ব থাকা দরকার।
তাদের আশা, ৫ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে অন্তত ৩ জন উত্তরের জেলাগুলির প্রতিনিধি থাকবেন। তা না হলে অনেকই দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিমন্ত্রীর ৫ পদের দৌড়ে যে ১১ বিধায়ক একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন তারা হলেন- দেবপ্রসাদ রায়, আবু নাসের খান, সমর মুখার্জি, সুখবিলাস বর্মা, অজয় দে, অসিত মিত্র, মুহম্মদ সোহরাব, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতো, অভিজিৎ মুখার্জি এবং অসিত মাল।
একটি সূত্রে জানা গেছে, এই ১১ জনের মধ্যে উত্তরের জেলার সাবেক রাজ্য সরকারের আমলা ও লোকসঙ্গীত শিল্পী সুখবিলাস বর্মা, মালদার প্রয়াত সাবেক ভারতের রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরী ভাই আবু নাসের খান ও সমর চৌধুরীকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
দক্ষিণের জেলাগুলিতে থেকে আসতে পারেন অসিত মাল এবং নেপাল মাহাতো।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের ঘনিষ্ট জলাপাইগুড়ির প্রবীণ নেতা দেবপ্রসাদ রায়কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময় : ১২৩০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১১