কলকাতা: দীর্ঘদিনের শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য এবার ভারত সরকারের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাহায্য নিতে চায় রাজ্য সরকার। দেশবিভাগ ও পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের উন্নয়ন ও নাগরিকত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করেছে বর্তমান সরকার।
রাজ্যের শরণার্থী পুনর্বাসনমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর পূর্ব বাংলা থেকে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা। এই সম্প্রদায়টি দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্দোলন করছে।
এবিষয়ে সাবেক বামফ্রন্ট সরকারকে অভিযুক্ত করে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বাংলানিউজকে বলেন, “শরণার্থীদের নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ভোটের রাজনীতি করেছে। বামসরকার ১৯৭৭ সালে প্রথম দিকে শরণার্থীদের দখল করা সরকারি জমির পাট্টা বিলি করলেও পরে তা বন্ধ করে দেয়। পাট্টা নবীকরণ করা হতো রাজনৈতিক রঙ দেখে। এই মন্ত্রকটির কোনো কাজ ছিল না বামফ্রন্ট শাসনমলে। ”
তিনি আরও বলেন, “খুব দ্রুত আমার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এখন কত শরণার্থী পরিবার আছেন তার জরিপ শুরু করা হচ্ছে। তাদের কী ধরনের সাহায্য প্রয়োজন তা জানতে চাওয়া হবে জরিপে। ”
মন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি পরিবারকে স্থায়ীভাবে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। সেই জমিতে বাড়ি করতে সাহায্য করবে সরকার। ”
দেশবিভাগের পর পাঞ্জাবে শরণার্থীদের জন্য নেওয়া ‘পাঞ্জাব মডেল’-এর আদলে কর্মসংস্থান প্রকল্প শুরু করতে চায় সরকার এই রাজ্যের শরণার্থীদের জন্য।
মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর জানিয়েছেন, এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমহোন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বিভিন্ন রাষ্ট্রের শরণার্থীদের সমস্যার স্থায়ী সমধানের জন্য জাতিসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ইউএনএইচসিআর আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। ভারত সরকারের মাধ্যমে এই অর্থসাহায্য নিয়ে রাজ্যের শরণার্থী সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবিষয়ে। তার পরামর্শে এখন আমরা মন্ত্রকের কাজের গতি বাড়ানোর চেষ্ঠা করছি। এই মন্ত্রকের মধ্য দিয়ে এখন রাজ্যের শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখন রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। ”
ভারতীয় সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১১