কলকাতা: সাবেক বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনে যে সমস্যার সমাধান হয়নি, ক্ষমতায় আসার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধানের পথে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার উদ্যোগে রাজ্যের পাহাড় সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি রাজ্যের মানুষ। প্রশংসায় মুখর হলেন বুদ্ধিজীবী মহল। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন বাম সমর্থক বুদ্ধিজীবীও আছেন।
‘ক্ষমতায় এসে তিন মাসের মধ্যে পাহাড় সমস্যার সমধান করে দেব’- নির্বাচনী প্রচারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। ঠিক এই মোতাবেক মোর্চা নেতাদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা সফল হওয়ার পর, এখন পাহাড় সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
রাজ্য ভাগ হওয়া আটকে দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলি, সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য, তিলোত্তামা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এতদিন বামফ্রন্ট সরকার পাহাড় সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। কিন্তু মমতা তা করছেন। ’
তিলোত্তমা মজুমদার মতে, ‘কোনও আইন জটিলতা নয়, একমাত্র উন্নয়নই পাহাড় সমস্যার সমাধান করতে পারে। ’
এদিকে, পাহাড় সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটতে শুরু করায় দার্জিলিংবাসীর মধ্যে আশা জাগতে শুরু করেছে। পাহাড়ের জনজীবন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল-কলেজে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত খুলতে শুরু করেছে।
পাহাড়বাসী চাইছেন, এখানে শান্তি ফিরুক, মিটে যাক পানীর সমস্যা। আবার নতুন করে শুরু হোক পর্যটন ব্যবসা।
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে মোর্চার বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি রাজ্য সরকার ও মোর্চার একতরফা চুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছে।
সিপিআরএম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সচিব গোবিন্দ ছেত্রী অভিযোগ করেছেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে মোর্চা। ’
গোর্খা লিগের সহ-সভাপতি লক্ষণ প্রধান বলেছেন, ‘মানুষকে যেভাবে মোর্চা নেতারা ভুল বোঝাচ্ছে, এর জবাব জনগণই দেবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১১