ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর ভেলপুরি

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর ভেলপুরি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা থেকে: রাস্তায় দাঁড়িয়েই তো ভেলপুড়ি খায়। ঢাকার শাহবাগ বা ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরবরেও ভেলপুরি পাওয়া যায়।

তবে স্যান্ডউইচ নয়।

আসলে স্ট্রিট ফুডের ধারণার সঙ্গে ধুলাবালির একটা সম্পর্ক রয়েছে। ধুলাবালির শহরগুলোতে স্ট্রিট ফুডের দাপট কম থাকাটাই স্বাভাবিক।

কলকাতা শহরটা পরিষ্কার না হলেও আমাদের ঢাকার মতো নয়। তাই তো সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে জমজমাট হয়ে ওঠে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো। ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই আবার বন্ধও হয়ে যায়।

খাবার অর্ডার দিয়ে, সেখানেই গোলগ্রাসে খিলতে হয় দাঁড়িয়ে।

মার্কু স্ট্রিট থেকে নিউ মার্কেট যাওয়ার মোড়েই একটা স্ট্রিট ফুডের দোকান। বোঝা যায় বেশ কাস্টমার রয়েছে।

কারিগরের সঙ্গে কথা বলতেই জানালেন, মাংস ছাড়াও সবজির স্যান্ডউইচ আছে। এছাড়া মমো, চাওমিন, ক্লাব স্যান্ডউইচ সবই অর্ডারের পর তৈরি করে দেওয়া হয়।

দু’টো প্রসস্ত আয়তনের পাউরুটির স্লাইসের ওপর মুরগীর মাংসের রান্না করা কুচি দেওয়া হলো। এরপর মোটামুটি আপেল সাইজের পেঁয়াজের স্লাইসের তিনটি টুকরো। এর আগেই অবশ্য পনির মাখিয়ে রাখা হয় রুটিতে। তারপর টমেটোর স্লাইচ আর বিট লবন।

স্যান্ডউইচ মেকারে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবেশন করা হয় মজাদার চিকেন স্যান্ডউইচ।

বর্গাকৃতির পাউরুটিকে চারভাগে ত্রিকোণ করে কেটে ফয়েল দেওয়া একবার  ব্যবহার উপযোগী প্লেটে পরিবেশন করা হয়।

সত্যিই  সুস্বাদু সস দিয়ে  খেতে। একটু পোড়া পোড়া পাউরুটির মাঝে আটকে যায় ভেতরের উপাদান।

আর ভেজিটেবল স্যান্ডউইচের জন্য ভিনেগারে ভেজানো ভুট্টাকে ঢালা হয় পাউরুটির স্লাইচে। তারপর কুচি কুচি করে পুরো ৫০ গ্রাম পরিমাণ পনির আর এর ওপর স্লাইস করে কাটা পেঁয়াজ আর টমেটো।

যথারীতি বিট লবন দিয়ে স্যান্ডউইচ মেকারে চাপ দিয়ে আগুনে গরম করা হয়।

পাউরুটির অংশটুকু পোড়া পোড়া হওয়াতে মচমচে হয়, যা বেশ তৃপ্তি করে খান এখানকার মানুষ।

এলেন্ডেস মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে চোখে পড়লো এক ভেলপুরিওয়ালা। ঢাকায় ভেলপুরির পুরি মানে একটু ছোট আকারের নরম পুরি।

তবে কলকাতায় দেখা যায়, অনেক কড়া করে ভাজা পুরি। তার উপরে লেপ্টে দেওয়া হয় ঘুর্ণি আর টক। বেশ তৃপ্তি নিয়েই খেতে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের।

কলকাতার এই  এলাকায় রাস্তার পাড়ে ফলের দোকানও বসেছে ততক্ষণে। এখানে ফলের ভেজালের খবর পাই তবে দেখিনি। তাই ফলের দোকানদার ভ্যানের উপরই কেটে খেতে দিচ্ছেন তার ফল।

দিপাবলীতে মগ্ন কলকাতা। চারিদিকে হৈ-হুল্লোড়ের মাঝেই রাস্তার পাশে বসেছে ভেলপুরি আর স্যান্ডউইচের দোকান।

** নিউমার্কেটে হ্যাপি দিওয়ালি
** পুরুষ প্রবেশ নিষেধ
** ভাত-ইলিশের প্যাকেজ ১২০ টাকা

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এমএন/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।