কলকাতা: দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় মুুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়নি। যেটা হয়েছে, সেটাকে বলতে হবে আলোচনার বিবরণ মানে ‘মিনিটস’।
মোর্চার অন্যতম র্শীষনেতা ও কার্শিয়াঙের বিধায়ক ড. রোহিত শর্মা শনিবার দার্জিলিংয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তার প্রয়াস ইতিবাচক। পূর্বতন সরকারের এ বিষয়ে অনীহা ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবার পাহাড়ে এলে তাকে অভিবাদন জানানো হবে। ’
এদিকে, পাহাড় সমস্যা সমধানে এখনও যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়নি বলে মোর্চার বক্তব্যকে স্বীকার করে নিয়েছেন গোর্খা পার্বত্য পরিষদের প্রশাসক অনিল ভার্মা।
তিনিও বিষয়টিকে ‘মিনিটস’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এর বেশী কিছু তিনি বলতে চাননি।
মোর্চার বিধায়ক ও শীর্ষনেতা ড. হরকা বাহাদুর ছেত্রী শনিবার পরিষ্কার বলেছেন, ‘ এখনও এই বিষয়ে কোন চুক্তি হয়নি। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বলে যা বলা হচ্ছে তা ভুল কথা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দাবি নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনা নিয়ে মিনিটস হয়েছে। ’
রাজ্যভাগের দাবিকে আরও একবার তুলে তার কথা, ‘ ওই মিনিটস থেকেই গোর্খাল্যান্ডের পথে হাঁটতে সুবিধা হল। এটা পাহাড় সমস্যার সমাধানের অস্থায়ী সমাধান।
তিনি আরও বলেন, ‘ মিনিটসের প্রথমেই বলা আছে,“উইডাউট ডাইলিউটিং দ্যা ডিমান্ড ফর গোর্খাল্যান্ড....। ”
মোর্চা সুত্রে জানা গেছে, এবার দার্জিলিংয়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারষ্ট্যান্ডিং’ হওয়ার কথা। মোর্চা নেতারা এর খসড়া তৈরি করবেন। এরপর তা সরকারকে দেওয়া হবে। তারপরই হবে চুক্তি।
সুত্রটি আরও জানাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মোর্চা নেতৃত্ব তাদের খসড়া তৈরি করে ফেলবেন।
এবারে আলোচনার একটি বিশেষ দিক, মুখ্যমন্ত্রী অতি ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তবর্তী স্বশাসিত পর্ষদ গঠনে গোর্খাসত্তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, এটা একটা বিশেষ দিক।
এছাড়া এখনও মমতা ব্যানার্জি কিছু না ঘোষণা করলেও অবহেলিত এবং বঞ্চিত পাহাড়ের জন্য অতিরিক্ত কিছু আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করবেন বলে মোর্চা নেতাদের আশা।
ভারতীয় সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১১