নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার দিল্লি সফরে গিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে বাংলাদেশ, ভূটান এবং নেপালের জন্যও ভালো হবে। যদি বাংলা শক্তিশালী হয় তাহলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের সম্পর্কও শক্তিশালী হবে।
নির্বাচনে জেতার পর মমতার এটাই প্রথম দিল্লি সফর। সফরে মমতা ব্যানার্জি দিল্লির প্রতি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মঙ্গলবার সকালে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সাথে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় মমতা পশ্চিমবঙ্গের সুবিধা বঞ্চিত জেলাগুলোকে বিশেষ খাতে দীর্ঘমেয়াদী তহবিল দেওয়ার দাবি জানান।
মূখ্যমন্ত্রী সীমান্তবর্তী জেলাগুলো নিয়ে তার আলোচনায় বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ভূটান সীমান্তে অবস্থিত জেলাগুলোর বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের ওই সকল বিশেষ অঞ্চলের জন্য চার বছর মেয়াদে ৪৭ হাজার কোটি রুপির কেন্দ্রীয় সহায়তা দাবি করেন। এই সহায়তা প্রতি বছর ১১ হাজার কোটি রুপি করে দেওয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন। ’
এসময় অর্থমন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়, ‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জঙ্গি তৎপরতা রোধে এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে বিশেষ প্রয়োজনের তাগিদে দিল্লি এই সহায়তা দিতে পারে। ’
বাংলার অবস্থা ভয়ানক এবং শোচনীয় উল্লেখ করে মূখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিশেষ সহায়তা পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা। আমরা কোনো অন্যায্য সুবিধা চাইনা। আমরা যা পাওয়ার যোগ্যতা রাখি তাই আমাদেরকে দিতে হবে। ’
ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মমতার সবুজ সংকেতের আশা করছেন। কারণ ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুটো প্রধান ইস্যুতে প্রস্তাব দিতে চায়। এর একটি হলো বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল সমস্যার সমাধান আরেকটি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। আর এই কাজের অংশ হিসেবেই মমতা কাজ করে যাচ্ছেন।
ছিটমহল সমস্যার সমাধান মানে হলো বাংলাদেশ কুচবিহারে ১ লাখ একর ভূমি হারাবে এবং ওই ছিটমহলের গ্রামগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের বসতি গড়তে দিতে হবে। অন্যদিকে তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের নিজেদের জন্যই জরুরি, কারণ বাংলাদেশে সেচের পানির জন্য তিস্তার পানি দরকার।
উল্লেখ্য, এ বছরের আগস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে ছিটমহল ইস্যু এবং তিস্তা পানি চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ঘণ্টা, ২১ জুন, ২০১১