কলকাতা: ভারতের লোকসভার বাদল (বর্ষা) অধিবেশনের পরেই ঢাকা সফরে আসছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তবে তার এ সফরের আগেই তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ ও মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে আসছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দিল্লিতে ৫টি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানান। সেইসঙ্গে তিনি নিজেও শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করছেন বলে নিশ্চিত করেন।
মনমোহন এদিন বলেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই গভীর। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে তারা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তারপরও দেশটির (বাংলাদেশ) পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল। ’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘সব কিছুর পরও মনে রাখতে হবে সে দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামির সমর্থক, যারা খুবই ভারতবিদ্বেষী। আইএসআই’র নানা রকমের চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে রয়েছে ওই দেশে। তাই যে কোনও সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। ’
দু’দেশের সর্ম্পকের নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে দু’দেশের সুসর্ম্পক স্থায়ী রূপ দিতে প্রয়াসী হয়েছে ভারত। ’
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) প্রত্যাশাকে রূপ দিতে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ন্যায্য স্থায়ী বোঝাপড়া গড়ে তুলতে প্রয়াসী হয়েছি। ’
মনমোহন সিং বলেন, ‘আমরা ধনী দেশ নই। তবু তাদের উন্নয়নে আমরা ১শ’ কোটি ডলারের ঋণ সাহায্য করেছি। ’
নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গেছে, মনমোহন সিংয়ের সফরের আগেই তিস্তার পানি বণ্টন ও ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি করতে চায় দিল্লি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে এ চুক্তি করা সম্ভব নয়। তাই বৃহস্পতিবার শিবশঙ্কর মেনন কলকাতায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলতে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১