ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সোনামুড়া সীমান্তে নির্মিত হচ্ছে কাঁটা তারের বেঁড়া

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
সোনামুড়া সীমান্তে নির্মিত হচ্ছে কাঁটা তারের বেঁড়া

আগরতলা: রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত সোনামুড়া মহকুমায় বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের  কাজ শুরু করেছে ত্রিপুরা।

রোববার (০৬ মার্চ) মহকুমার কুলুবাড়ী, এন সি নগর, দাওধরানী বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনামুড়া মহকুমায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ৯২ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৮২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

কিন্তু বাকি এলাকার মানুষ সীমান্তের ১৫০মিটার ভেতরে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণে বিরোধিতা করে আসছিলেন।

তাদের অভিযোগ ছিল, কাঁটা তারের বেড়া হয়ে গেলে তাদের অধিকাংশ জমি বেড়ার বাইরে চলে যাবে। ফলে চাষবাসের সমস্যা হবে। তাই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বেড়া নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা।

সীমান্তবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোনামুড়া মহকুমার কুলুবাড়ী, এন সি নগর, দাওধরানী এলাকায় সীমান্ত বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু হয়েও দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল।

পরে সোনামুড়া মহকুমা প্রশাসন, এলাকাবাসী ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ-এর মধ্যে এ বিষয়ে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে প্রশাসনের আশ্বাস এবং সীমান্তে নির্ধারিত সংখ্যার তুলনায় বেশি গেট রাখা হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণে সম্মত হন এলাকাবাসী।

সোনামুড়া মহকুমার এস ডি পি ও অশোক কুমার সিনহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ০৩ মার্চ থেকে বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ, টি এস আর ও বি এস এফ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক পান্না আহমেদ জানান, যারা আগে ভুল বুঝে সীমান্তে বেড়া নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করেছিলেন তারাই এখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণভাবে এ কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।