ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার পরিমল সাহা ও তার ভাই হত্যাকাণ্ড মামলার রায় প্রকাশ

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৮ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৬
ত্রিপুরার পরিমল সাহা ও তার ভাই হত্যাকাণ্ড মামলার রায় প্রকাশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: আগরতলা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে অবশেষে ৩৩ বছর পর ত্রিপুরার চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরিমল সাহা ও তার ভাই জিতেন সাহা হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

 

শনিবার (৩০ এপ্রিল) পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস বি দত্ত এই জোড়া হত্যা মামলার ১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত ও বাকি ৫ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

১২ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩০২, ৩২৬, ১২০(বি) ও বিস্ফোরক আইনের ধারা ৩ অনুসারে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিচারক তাদেরকে ৩০২ ধারায় এর জন্য যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন,সেই সঙ্গে ১০ হাজার রুপি জরিমানা করেন অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাবাসের নির্দেশ এবং ১২০বি ধারাতেও সকলকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান সরকারি আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক।

যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ষষ্ঠী চক্রবর্তী (৫৬), মৃণাল সেনগুপ্ত (৫৯), উত্তম সাহা (৫৭), বিজয় কুমার দাস (৫৮), কাজল রায়(৫০), অভয় কান্ত ভূষণ(৬১), চিন্ময় ঘোষ(৫৭), হিরণ্ময় ঘোষ(৫৩), সুখেন্দু বিকাশ দাস(৫৮), বাবুল দাস(৫৬) এবং সজল কান্তি সরকার(৫৬)।

আদালত চত্বরে মামলার রায় শুনতে প্রচুর সংখ্যক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মীও।

১৯৮৩ সালের ৭ই এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় জিপ গাড়িতে করে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ হামলায় মৃত্যু হয় তৎকালীন চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরিমল সাহা ও তার ভাই জিতেন সাহা’র। বিধায়কের মৃত্যুর পর মামলা শুরু হলেও নানা টালবাহানায় কেটে যায় বহু বছর।

একটা সময় একাংশ মানুষ ধরে নিয়ে ছিলেন যে এই মামলার রায় হয়তো আর বের হবে না কিন্তু আগরতলা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে এই মামলায় গতি আসে ও অবশেষে ৩৩ বছর পর সাজা ঘোষণা হল। স্বভাবতই খুশি নিহত বিধায়কের পরিবার।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।