ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নিজামীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানে বিরক্ত ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৬
নিজামীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানে বিরক্ত ভারত

কলকাতা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে ভারত চিন্তিত ও বিরক্ত। ভারতের কূটনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা পাকিস্তানের নেওয়া অবস্থানকে ভালো চোখে নিচ্ছে না।

ভারতের প্রশাসনিক মহলের সূত্র থেকে পওয়া খবরে জানা যাচ্ছে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে নাখুশ ভারত।

প্রথম বিষয় গত ১১ মে (বুধবার) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বক্তব্য, যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সংবিধান এবং আইনের পক্ষ নেওয়াই ছিল নিজামীর এক মাত্র অপরাধ।

 

একই দিনে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট একটি ‘ফাতেয়া’ জারি করে। বিনা বাঁধায় একটি রেজুলিউশনও পাশ হয়। যেখানে এই ফাঁসির ঘটনায় গভীর চিন্তা প্রকাশ করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী এই বিষয়ে তাদের গভীর চিন্তা ব্যক্ত করেন।
 
দ্বিতীয়ত গত ২৪ মে (মঙ্গলবার) পাকিস্তানের পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে একটি রেজুলিউশান নেওয়া হয়। যেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয় জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীরকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘নিশান-এ পাকিস্তান’ প্রদান করার। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের মধ্যে অন্তর্গত  পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কারাগারে মানবতা বিরোধী অপরাধে বন্দি এবং মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সমস্ত জামায়াত ইসলাম নেতাদের এই সম্মান দেবার প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

লক্ষণীয় ভাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে এই বিষয় নিয়ে কোন বিরোধিতা দেখা যায়নি। কূটনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা এই বিরোধিতাহীন প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়টিকে নজর রেখে যথেষ্ট বিব্রত। ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একটি মহলের মতে এই দুটি ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে জামায়াত ইসলামের গভীর যোগাযোগ এবং সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া ‍যায়।
 
বিশ্লেষকদের মতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে এই ধরণের একটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরকার, রাজনৈতিকদল এবং জনগণের পক্ষে একাধিক প্রতিবাদ হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেই ধরণের কোন প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেনি। বরং বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকে সবকটি পক্ষ।

স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থায় একটি সার্ব্বভম্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের এই ধরণের হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিষ্টাচারের পরিপন্থী বলে মনে করছেন ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা আরও অবাক হয়েছেন গোটা বিশ্বের এই নিয়ে চুপ থাকার বিষয়টিও। তাদের আশা আগামী দিনে এই বিষয়টিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও খুব দ্রুত সরব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ০১ জুন , ২০১৬
ভিএস/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।