ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ত্রিপুরার ৭ কংগ্রেস এমপি

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৬
তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ত্রিপুরার ৭ কংগ্রেস এমপি

আগরতলা: ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাসে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন অধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেসের সাত বিধায়ক একযোগে যোগ দিচ্ছেন মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসে।

 

শিগগির পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক তৃণমূলে তারা যোগ দেবেন বলে রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় জানিয়েছেন পশ্চিম জেলার বাধারঘাট ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি মনিষ দেব।

তার তথ্য মতে, সাত বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মণ ও দিলীপ সরকারের মতো ব্যক্তিত্বরা।

সূত্রমতে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের জোটের প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হন ত্রিপুরা রাজ্যের অনেক কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক। প্রতিবাদে ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দেন সুদীপ রায় বর্মণ। তারপর সুদীপসহ আরও ৫ বিধায়ক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছেন। সংবিধান মতে, ৬ জন বিধায়ক দল ত্যাগ করলে তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে। তাই কমপক্ষে ৭ বিধায়ককে একযোগে দল ত্যাগ করতে হবে। এরপরই ওই ৬ বিধায়কের আরেক বিধায়ক খোঁজার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।

এই অবস্থায় কংগ্রেসের আরেক বিধায়ককে বাগে আনতে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তিনি তৃণমূলের প্রতি দুর্বল কংগ্রেস বিধায়ক দিলীপ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাকে মমতা ব্যানার্জির দলে ভিড় জমাতে রাজি করান।
 
এরপর রোববার (৫ জুন) সুদীপ রায় বর্মণের নেতৃত্বে আবারও কংগ্রেসের ৬ বিধায়ক ছুটে যান দিলীপ সরকারের বাসভবনে। সেখানে দীর্ঘ বৈঠক করে দিলীপ সরকারকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাজি করান তারা।

এই বিষয়ে জাতীয় কংগ্রেসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।