ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাংলাদেশ বইমেলার সপ্তম দিনে আলোচনায় শিশু সাহিত্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
বাংলাদেশ বইমেলার সপ্তম দিনে আলোচনায় শিশু সাহিত্য

কলকাতা: সফলভাবে একটি সপ্তাহ পার করলো কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বইমেলার সপ্তম দিনে মূল মঞ্চে আলোচনায় ওঠে এলো বাংলাদেশ ও বাংলার শিশু সাহিত্য।

উপ হাইকমিশনের হেড অফ কাউন্সেলর মিয়া মো. মইনুল কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন-জিয়াদ আলি, দীপ মুখোপাধ্যায় এবং রহিম শা, অশোকেন্দু সেনগুপ্ত, উপ হাইকমিশনের মৌসুসী ওয়ারিস (রাজনৈতিক)।

আলোচনা সভায় জিয়াদ আলি বলেন, দুই বাংলাতেই শিশু সাহিত্য নিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে । কিন্তু স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশে এ কাজের পরিমাণ অনেক বেশি। শিশুর মনের বিকাশে শিশু সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। তাই শিশুর মনে অলৌকিক বিষয় প্রবেশ না করিয়ে যুক্তিমনস্ক চিন্তা প্রবেশ করাতে হবে।

দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে শিশুদের সাহিত্যমুখি না করে মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গেমস এবং টেলিভিশনে কার্টুনমুখি করে তুলছেন অভিভাবকরা। যে কার্টুনগুলো শিশুরা দেখছে সেগুলো যদি তারা পড়তো বা অভিভাবকরা পড়ে শোনাতো। তাহলে তাদের মনের বিকাশ অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো।

সাহিত্যিক গোলাম মুস্তাফা, জসিমউদ্দিন , জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আহমেদ, আশান হাবিমের মতো সাহিত্যিকদের কথা উল্লেখ করে শিশু সাহিত্যে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে মৌসুমী ওয়ারিস বলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ৪২৫ টি বই প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোকপাত করেন বাংলাদেশ বইমেলার সেমিনারেও।

সবশেষে সভাপতি মিয়া মো. মইনুল কবীর বলেন, গোটা বিশ্বে বাঙলা ভাষাভাষি মানুষরা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত বইগুলো ইন্টারনেটের  মাধ্যমে পড়েন। তিনি মনে করান ইন্টারনেটের খারাপ দিক থাকলেও তার ভালো দিকও আছে। সে কারণেই  শিশুরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বাঙলা বই পড়তে পারছে। কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে অভিভাবকদের নজর এবং সচেতন থাকতে হবে। এবং শিশুদের বই পড়তে আগ্রহী করে তোলার বিষয়ের ওপর জোর দেন।

আলোচনা সভা শুরুর আগে বইমেলায় প্রকাশিত হলো কয়েকটি বই। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউপিএল পাবলিকেশনস থেকে দেবব্রত বেদ’র অনুবাদ সাহিত্য ‘গ্যেটের ফাউস্ট

এ দিন মেলায় যথেষ্ট পরিমাণ লোকের সমাগম হয়। উৎসাহী পাঠকরা বই দেখার ফাকে আলোচনা শোনেন। উপস্থিত সবাই মেলার সাফল্য কামনা করেন। মেলা চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

** নারী শক্তির আলোয় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ বইমেলা
** বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ বইমেলায় পাঠক সমাগম
** হাজার বছরের গানের সুরে ভাসলো বাংলাদেশ বইমেলা
** গুণীজন সঙ্গ ও লালনের গানে সম্মোহিত বইমেলার সন্ধ্যা
** কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার দ্বিতীয় দিন
** রবীন্দ্র সদনে বাংলাদেশ বইমেলা রূপ নিলো মিনি বাংলাদেশে

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
ভিএস/ওএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।