ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবার মফস্বলের ‘রোজগেরে গিন্নি’

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
এবার মফস্বলের ‘রোজগেরে গিন্নি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: বাংলা ভাষায় টেলিভিশনে নারীদের নিয়ে ননফিকশান ‘শো’ বলতে বোঝায় ‘রোজগেরে গিন্নি’।

২০০১ সালে শুরু হওয়া এ ‘শো’ টেলিভিশন জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

সেই উপস্থাপক পরমার  হাত ধরেই ফের দর্শকদের সামনে আসছে ‘রোজগেরে গিন্নি’। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘কালারস বাংলা’র পর্দায় নতুন সাজে সাজানো এ ‘শো’ গত ১৭ অক্টোবর থেকে প্রচার হচ্ছে। যা এরইমধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে।

প্রতি সোম থেকে শনি ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় এ শো দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা।

সম্প্রতি শো’র সঞ্চালক পরমার মুখোমুখি হয় বাংলানিউজ। এ সময় শো নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

বাংলানিউজ: এবার রোজগেরে গিন্নি কতোটা আলাদা?

পরমা: ২০০১ সালে এ শো’তে বাড়ির গিন্নিরা ছিলেন শহরকেন্দ্রিক। এবার বেশিরভাগটাই শহরের বাইরে, মফস্বলে। শুরুর সেই ফ্লেভারটা রেখে পুরো পশ্চিমবঙ্গকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘১৫ বছর আগের থেকে এখন টেলিভিশনের দর্শকও অনেক বদলে গেছে। এ শো’ আমিসহ পাঁচজন আলাদা প্রডিউসারের জন্য অ্যাঙ্করিং করেছি। কিন্তু এটা যারা শুরু করেছিলেন সেই ব্ল্যাক ম্যাজিকই ফ্লেভারটাকে ধরতে পেরেছিলো, বুঝতে পেরেছিলো। অনেক পুরানো টেকনিশিয়ান ছিলো। যারা এ ইউনিটেও আছেন। এখন দর্শকদের পছন্দ হলে, আমাদের পরিশ্রম সার্থক। ’

বাংলানিউজ: পুরনো একটা শো-এ এতোদিন পরে আবার ফিরে আসার কারণ কী?

পরমা: ২০০৭ সালের পর থেকে এদের ফরম্যাট পরিবর্তন হতে থাকে। ২০১০ সালের শেষ রোজগেরে গিন্নি হোস্ট করেছি। শেষের দিকে এ শো’তে ডিজে নাচাতে শুরু করলো। ডিজে গিন্নিও নাচবে। এটা আমার ভালো লাগেনি। তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।

অ্যাঙ্করের কিছু করার ছিলো না। তোমার বাপের বাড়ি কোথায়, শ্বশুরবাড়ি কোথায়, প্রিয় রং কী, কোথায় হানিমুনে গিয়েছিল? এরকম কিছু বাধা ধরা প্রশ্ন করা হতো। আলাপের ব্যাপারটাই একঘেঁয়ে হয়ে গিয়েছিলো।

বাংলানিউজ: এ শো এতো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী

পরমা: রোজগেরে গিন্নি এক ধরনের ডকুমেন্টারি। এমন হিট শো যে চ্যানেলই কোনোও না কোনোদিন ফেরাতোই। তবে পুরানো ফ্লেভারে না ফিরলে আমি করতাম না। পুরনো টাইটেল সংকটাও আবার ফিরিয়ে এনেছে। তবে এবার নতুনভাবে করেছি। অনেক বাড়িতে গিয়ে শুনেছি আমি তার মায়ের সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি, তখন এ গিন্নি স্কুলে পড়তো।

‘শতরূপা সান্যাল (চলচ্চিত্র পরিচালক) যেমন বলেছেন আমার মেয়েরা ছোটবেলায় রোজগেরে গিন্নি খেলতো। হঠাৎ এক বোন কলিং বেল বাজিয়ে বাসায় ঢুকতো। আরেকজন অতিথি হয়ে আসতো। ’

বাংলানিউজ: এবার কী কী পরিবর্তন এলো?

পরমা: ৩০ মিনিটের শ্লট। ৭টা রাউন্ড ঢোকাতে গিয়ে কথা বলার সময়টা অনেক কমে যেতো। এটা স্টোরি অব আওম্যান। একদিনে আমি তার জীবনের গল্প তুলে এনেছি। সেটাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এবার গেমের সংখ্যা কমানো হয়েছে। পুরস্কারের সংখ্যা বাড়ছে। আগে পুরস্কার ছিলো ১০ হাজার রুপি, এখন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার রুপি।

বাংলানিউজ: কামনা করি আপনার হাতে নতুন করে শুরু হওয়া রোজগেরে গিন্নি সফল হোক। একই সঙ্গে বাংলানিউজ ও এর পাঠকদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

পরমা: ধন্যবাদ, বাংলানিউজকেও। ধন্যবাদ সকল দর্শককেও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬

ভিএস/এএটি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।