ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আদালতের রায়ের পর বৃষ্টিই ‘অসুর’ হতে চলেছে কলকাতার পূজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
আদালতের রায়ের পর বৃষ্টিই ‘অসুর’ হতে চলেছে কলকাতার পূজার ...

কলকাতা: আগামী তিন দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ সরছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সহ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল, রায়লসীমা, তেলাঙ্গনা, উড়িষ্যায় ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

ফলে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার আনন্দ আরও ম্লান হয়ে গেলো। অপরদিকে পূজা মণ্ডপকে ‘নো এন্ট্রি জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। তাই আদালতের রায়ের পর বৃষ্টিই কলকাতার দুর্গা পূজায় ‘অসুর’ হতে চলেছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) থেকে পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতের নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ২৩ ও ২৪ অক্টোবর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গোটা পূজায় বৃষ্টি থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। এ সময় বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান কে. সতী দেবী জানিয়েছেন, বর্ষার বিদায় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ রেখা বহাল থাকায় ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বর্ষা বিদায় এখনই ঘটবে না। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে উত্তর-পূর্ব বাতাস বইতে শুরু করবে। এর জেরে রাতে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো হাওয়া বইতে শুরু করবে।

অপরদিকে, অন্য বছরে এ সময় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটা মণ্ডপে মণ্ডপে ২৪ ঘণ্টাই ভিড় লেগে থাকতো। তবে এ বছর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ফলে ভিড় নেই মণ্ডপগুলোয়। এ বছর মানুষের ভিড় আর মণ্ডপের মাঝে আদালতের নির্দেশে রয়ে গিয়েছে একটি বোর্ড। যার নাম ‘নো এন্ট্রি’। তাই ব্যারিকেডের ওপার থেকেই মাথায় হাত ঠেকিয়ে দর্শনার্থীদের প্রার্থনা, ‘মা, বধ করো করোনা অসুরকে। ’ এও কি এক নিউ নর্মাল লাইফ!

কলকাতার এক প্রথমসারির বারোয়ারী পূজা মণ্ডপের সামনে সেজেগুজেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সায়ন আর দীপালি। সামনে সারি বাঁধা পুলিশের ব্যারিকেড। পাশে দাঁড়ানো পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে পূজা উদ্যক্তাদের কড়া নজর। এগোনোর উপায় নেই। তাই হতাশা যেন ঢাকছিল না নতুন জামা-জুতোয়। দূর থেকেই মণ্ডপ আর প্রতিমা দর্শন করে দীপালি বললেন, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাকটা অনুভব করলাম। আমাদের সাধ্য নেই নির্দেশকে অমান্য করে এগিয়ে যাওয়ার। ইচ্ছে ছিল, প্রতিমার সামনে গিয়ে ছবি তুলব। সেটা তোলা থাকল পরের বছরের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
ভিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।