কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিনে কলকাতার রেডরোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে সৌজন্যের নজির গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সোমবার রেড রোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, বাম নেতৃত্বকে আগে মালা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে সব বিতর্কের অবসান ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এদিনের মাল্যদান অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাম নেতৃত্ব ও সরকারের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বরাবরের মতো বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে প্রথমে মাল্যদানের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়।
তবে বাম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আবেদনের কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মাল্যদানের পরই বাম নেতৃত্ব মাল্যদান করবেন। এই নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়।
এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীণ নেতা অশোক ঘোষসহ বাম নেতারা নির্ধারিত সময়ের আগেই কার্জন পার্কে পৌঁছে যান। তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তারা সাধারণ মানুষের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে নেতাজীকে শ্রদ্ধা জানাবেন। পুলিশ যদি এতে বাঁধা দেয় তাহলে তারা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের নেতাজী মুর্তিতে গিয়ে মাল্যদান করবেন।
কিন্তু বামনেতাদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রবীণ বামপন্থী নেতা অশোক ঘোষকে আগে মাল্যদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সরকারিভাবে মাইকেও তার নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপরেই প্রতিবারের মতো এবারও নেতাজির জন্মদিনের মাহেন্দ্রক্ষোন দুপুর সোয়া ১২টায় সেখানে বামফ্রন্টের প্রবীণতম নেতা অশোক ঘোষ মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। এরপর একে একে বিমান বসু, মঞ্জু কুমার মুখোপাধ্যায়, ক্ষিতি গোস্বামী প্রমুখ বাম নেতৃত্ব ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয়।
এদিন মাল্যদান করেন নেতাজির পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণা বসু, সুগত বসু ও সাবেক সাংসদ সুব্রত বসু।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ রাজ্য ও কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। মাল্যদান পর্বের শেষে কলকাতা পুলিশ, বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১২