নয়াদিল্লি/কলকাতা: বৃহস্পতিবার ভারতজুড়ে উদযাপিত হয়েছে ৬৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস।
রাজধানী দিল্লির বিজয় চকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা সিং পাটিল, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, মন্ত্রিসভার বহু সদস্য, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, লোকসভার অধ্যক্ষ মীরা কুমার, বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, তিন বাহিনীর প্রধান প্রমুখ।
এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতথি হিসাবে উপস্থিত হাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিজয়চকে রাষ্ট্রপতির পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে অমর জওয়ান বেদীতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পরে কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। তিন বাহিনীর বিভিন্ন ট্যাবলোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্যাবলোও এদিনের অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
দীর্ঘ ১২ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে এবারে দিল্লির কুচকাওয়াচে অংশগ্রহণ করা হয়। এবারে পশ্চিমবঙ্গের থিম ছিল শান্তিনিকেতন।
নয়াদিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের মূল অনুষ্ঠান পালন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা।
কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন বাহিনী, জেলা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করা হয়। প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলো।
এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকেই দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়। রাতজুড়ে রাস্তায় রাস্তায় চলে জোরদার তল্লাশি।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে দেশের প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু। এ দিনটির স্মরণে প্রতি বছর দেশজুড়ে উদযাপিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১২