কলকাতা: বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে ৩ ভারতিয় জেলেকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় আটক ৫ বাংলাদেশিকে রোববার আদালতে তোলা হয়। এদিন তাদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের আশঙ্কা তারা বাকি জেলেদের নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের দক্ষিণ স্থলসীমার নিমজ্জিত দ্বীপ তালপট্টির আশেপাশে অবস্থান করছে। সেই অনুযায়ী বিজিবি ও বিএসএফসহ কোস্ট গাড তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে লুটপাট করতে গিয়ে ভারতিয় তিন জেলেকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরা ঘটনার পর অন্য ভারতীয় জেলেদের হাতে আটক হন। পরে তীরে এনে শনিবার কাকদ্বীপ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক রাহুল মজুমদার বলেন, এই ঘটনায় কাকদ্বীপ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোববার তাদের আদালতে তোলা হচ্ছে।
আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদ মোস্তাফা, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, জাকির খান, হিরু খান ও বিষ্ণুপদ বিশ্বাস। এদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলায়।
শনিবার সন্ধ্যায় অবশ্য এদের কাকদ্বীপ থেকে কুলপি থানায় নিয়ে আসা হয়। কাকদ্বীপে জনরোষের কারণে তাদের কুলপি থানায় আনা হয়েছে। সেখানে তাদের জেরা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান দুলাল দাস (৪৫), শ্রীফন দাস (২৫) ও মনমোহন দাস (২৫)। এদের বাড়ি কাকদ্বীপ থানার কালীনগর এলাকায়। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের রয়েছেন দু’জন। তারা হলেন দুলাল দাস ও তার পুত্র শ্রীফন দাস।
এ ঘটনায় আহত হয় আরও ৯ জন জেলে। তাদেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভতি করা হয়। পরে ডায়মন্ডহারবার মহকুমা হাসপাতালে ৪ জনকে ও কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন কে স্থানান্তরিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১২