কলকাতা : এমআরআই হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে চিকিৎসক মণি ছেত্রীর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াতে পারে দার্জিলিং পাহাড়ে। সোমবার মহাকরণে রাজ্য প্রশাসনকে এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন মোর্চা বিধায়ক ড.হরকা বাহাদুর ছেত্রী।
তিনি বলেন, দার্জিলিং পাহাড়ের কালিম্পং শহরের বাসিন্দা মণি ছেত্রী পাহাড়ের সম্মানীয় ব্যক্তি। তার গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। মণি ছেত্রীর জামিনের বিষয়ে এদিন হরকা বাহাদুর ছেত্রী মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেন প্রবীণ এই চিকিৎসকের জামিন প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘায়িত না হয়।
আমরি কাণ্ডের প্রায় দেড়মাস পরে মণি ছেত্রীর গ্রেফতারের ঘটনার প্রেক্ষিতে হরকা বাহাদুর এদিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সম্ভবত কোনো বিশেষ পক্ষের চাপেই গ্রেফতার করা হয়েছে মণি ছেত্রীকে।
এদিকে, সোমবার মণি ছেত্রী এবং প্রণব দাশগুপ্তর মুক্তির দাবিতে সরব হন রাজ্যের চিকিত্সক মহলের একাংশ। এই ঘটনাকে অনৈতিক এবং অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
চিকিৎসকদ্বয়ের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে এই আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বঙ্গীয় রাজ্য শাখা। এই ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।
গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকুরিয়ায় আমরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ৯৪ জন৷ পুলিশের অনুমান বেসমেন্টের দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লাগে এমআরআইতো হাসপাতালে বন্ধ ছিল স্মোক অ্যালার্মও।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় রোগীরা।
সেই ঘটনায় গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় চিকিৎসক মণি ছেত্রী ও চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্তকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।
বাংলাদেশ সময় : ০২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১২