কলকাতা: তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে আগামীকাল সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
কারণ কে যে আসল তৃণমূল বুঝতে পারছে না বোলপুরের পুলিশ-প্রশাসন।
বীরভূম তৃণমূলের মধ্যে দুই গোষ্ঠী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠী। জেলার সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক হোসেনের নেতৃত্বে আরেক গোষ্ঠী।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই গোষ্ঠীরই দাবি, তারাই আসলে তৃণমূল। মুস্তাক হোসেন গোষ্ঠী পুলিশকে জানিয়েছে, তারা সোমবার বোলপুরে জমায়েত করবে, মিছিল করবে এবং এসডিপিও-র কাছে ডেপুটেশন জমা দেবে।
তাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর উপর মিথ্যে মামলা রুজু করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই ডেপুটেশন।
এদিকে, সোমবার পাল্টা মিছিলের ডাক দিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীও। ১৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের জেলা সম্মেলন সেই সম্মেলনের সমর্থনেই মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা।
তৃণমূলের এ দুই গোষ্ঠীর একই দিনে দুটি ভিন্ন মিছিলকে ঘিরে শঙ্কিত প্রশাসন। অশান্তির আশঙ্কায় সোমবার বোলপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
রোববার থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, যারা ডেপুটেশন দিতে চাইছেন, তারা তৃণমূলের কেউ নন। তারা আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে অপদস্থ করতে চাইছেন।
বোলপুরের তৃণমূলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের গলাতেও একই সুর।
তিনি বলেন, অনেকে বাজার থেকে তৃণমূলের পতাকা কিনে দলকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। পুলিশকে বলেছি, ব্যবস্থা নিতে।
অন্য গোষ্ঠীর পাল্টা অভিযোগ, দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশ, কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে পদোন্নতির প্রলোভন দেখিয়ে, তৃণমূলেরই কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রুজু করে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে, শান্তিনিকেতনে এখন বইমেলা চলছে। এ সময় দেশ বিদেশের বহু মানুষই এখানে ঘুরতে আসেন। এ পরিস্থিতিতে বোলপুরে সোমবার ১৪৪ ধারা, সপ্তাহের প্রথম দিনেই অঘোষিত ছুটি।
তবে এই ছুটিতে আনন্দের থেকে বোধহয় আতঙ্কটাই বেশি। এমনটাই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১২