কলকাতা : রাজ্যে বিরোধী আসনে বসার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করছে সিপিএম। এই সমাবেশকে ব্যাপক জনসমাবেশ রাজ্যের সবকটি জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সিপিএম রাজ্য কমিটি।
সিপিএমের মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতায় দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন জেলা থেকে কত সমর্থককে উপস্থিত করানো সম্ভব তাও নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রায় সব জেলাতেই ধাক্কা খেয়েছে সিপিএমের সাংগঠনিক শক্তি। দলের সম্মেলন প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে এখন মরিয়া দলটি। আর সেই কারণেই দলের রাজ্য সম্মেলনের শেষে ব্রিগেডের সমাবেশকে জনসমুদ্রের আকার দিতে চাইছে দলীয় নেতৃত্ব।
দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রত্যেকটি জেলা কমিটিকে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশে সমর্থকদের উপস্থিতি ব্যাপক করতে প্রত্যেকটি জেলাকে বিশেষ টার্গেটও দেওয়া হয়েছে।
সেই তালিকা অনুযায়ী কলকাতা জেলা থেকে উপস্থিত থাকবে দুই লাখ, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে দুই লাখ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে এক লাখ, বর্ধমান থেকেও প্রায় এক লাখ লোক অংশ নেবে ব্রিগেড সমাবেশে।
হাওড়া ও হুগলি এ দুই জেলা মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ উপস্থিত হবে বলে মনে করছে সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএমের মূল্যায়ন, ব্রিগেডে তারা যদি ১০ লাখ মানুষকে উপস্থিত করাতে পারে, তাহলে বিরোধী দল হিসেবে তা আক্ষরিক অর্থেই হবে নজিরবিহীন। বিরোধী আসনে বসে নজিরবিহীন ব্রিগেড সমাবেশ গড়তে ব্যাপক প্রচার চালাবে সিপিএম।
ব্রিগেডের জন্য এলাকায় এলাকায় পথসভা হবে। ওই পথসভাগুলোতে বক্তা হিসেবে থাকবেন নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, গৌতম দেবের মত দলের শীর্ষ নেতারা।
ব্রিগেড সমাবেশের প্রধান বক্তা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সিপিএমের সম্পাদক বিমান বসু।
তবে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের কাছে এবারের ব্রিগেডে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি উৎসাহ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গড়বে তা কঙ্কাল কাণ্ডে সম্প্রতি জামিন পাওয়া সাবেকমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের উপস্থিতি।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১২