কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৫ জন।
রোববার রাতে শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হাওড়ার বাগনানের সুনীল রায় (২৫) ও টুম্পা রায় নামে এক দম্পতির।
ওই দম্পতি টাটাসুমোতে চেপে বাগনান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে ৩ মাসের কন্যাও ছিল।
টাটাসুমোটি সড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই দম্পতির মৃত্যু হয়। তবে টাটাসুমোর চালক ও শিশুটি জীবিত আছে বলে জানা গেছে।
সুনীল রায়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীক কারণে সুনীল রায় কাঠমান্ডুতে থাকতেন। কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসার পর স্ত্রী ও শিশুকে নিয়ে রোববার সকালে কাঠমান্ডুর পথে রওনা হন।
এদিকে, সোমবার লরি ও স্কুল ভ্যানের সংঘর্ষে আহত হয় ১০ স্কুল শিক্ষার্থী। এদিন পৌনে ৮টা নাগাদ শ্রীরামপুরের মানিকপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের শ্রীরামপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ফটিকবাজারের একটি স্কুলের ১২ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে একটি স্বুলভ্যান স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরে লরিটি একটি গাচ্ছে ধাক্কা মেরে সড়কে পাশে উল্টে যায়। ঘটনায় ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পরই লরিটির চালক পালিয়ে যায়। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বর্ধমানের কেতুগ্রামে সড়কের পাশের খালে উল্টে যায় একটি যাত্রী বোঝাই বাস। এদিন সকালে কেতুগ্রামের পুরুলিয়া মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেতুগ্রামের খাটুন্ডি থেকে বর্ধমান যাওয়ার পথে পুরুলিয়া মোড়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে পাশের খালটিতে উল্টে যায়। স্থানীয় গনগণ যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাসটিতে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২