কলকাতা: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন খোদ চেয়ারম্যান ও চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার।
চিঠিতে সোমেন মিত্র অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের আড়াল করতে সিভিসি ও দিল্লির সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেও ওঠাবসা করছেন পোর্ট ট্রাস্টের অভিযুক্ত কর্তারা।
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার এস কে চৌধুরীও এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ। সিভিও পদে এস কে চৌধুরীর নিয়োগের পর থেকে এবিষয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এলেও হাতে গোনা কয়েকটি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে মাত্র। দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের রক্ষা করাই যেন চিফ ভিজিল্যান্স অফিসারের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
উদ্দেশ্যে সফল করতে দিল্লির সিভিসি দফতর এবং কলকাতা ও দিল্লির সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেও এস কে চৌধুরী যোগাযোগ রাখেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়ই না। উল্টে পদক্ষেপ নেওয়া হয় অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে নিজের দফতরকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিবের দফতরে পরিণত করেছেন সিভিও। চেয়ারম্যান যা বলেন, সেই মতোই কাজ করেন এস কে চৌধুরী। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ীই দক্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। বেআইনিভাবে ক্ষতিপূরণও পাইয়ে দেন।
এস কে চৌধুরী সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে আবেদন করেছেন। শুধু চেয়ারম্যানকে তোষামোদ করেই তা সম্ভব হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। আর একবার যদি এস কে চৌধুরী ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়ে যান। তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে বলেই চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসানকে এই চিঠি দেওয়ার পাশপাশি কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়, জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব কে মোহনদাস, চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার এবং সিবিআই অধিকর্তাকে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন সাংসদ সোমেন মিত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২