ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণ শুরু

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২

কলকাতা: ভারতের উত্তর প্রদেশের মসনদ আগামী ৫ বছরের জন্য কার হাতে যাচ্ছে? ৩ দফায় ১৭০টি আসনে নির্বাচনের পালা সাঙ্গ হওয়ার পরও চিত্রটা আদৌ স্পষ্ট হয়। এই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার আবহের মধ্যেই রোববার উত্তরপ্রদেশের ৭ দফার বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্ব শুরু হয়েছে।



হারদই, উন্নাও, রায়বরেলি, ফারুকাবাদ, ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ নগর, কনৌজ, বান্দা, চিত্রকূট, ফতেপুর, প্রতাপগড় ও লখনউ চতুর্থ দফার ভোটে, ইভিএম-বন্দি হবে দক্ষিণ-মধ্য উত্তরপ্রদেশের এই ১১ জেলার ৫৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের জনমত।

মোট ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ। ১৮ হাজার ৬০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৯৬৭ জন প্রার্থীর। এদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান মন্ত্রী, ৩২ বিধায়ক এবং ১২ জন সাবেক মন্ত্রী।

প্রার্থীদের মধ্যে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, দাঙ্গাসহ নানা গুরুতর অভিযোগের ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা যোশি (লখনউ-ক্যান্টনমেন্ট), বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কলরাজ মিশ্র (লখনউ-পূর্ব), কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা প্রমোদ তিওয়ারি (রামপুর খাস), মায়াবতীর মন্ত্রীসভার নগরোন্নয়নমন্ত্রী নকুল দুবে (বক্সি কা তালাও),  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল মান্নান (সান্ডিলা)।

প্রতাপগড়ের কুণ্ডা আসনে লড়ছেন কুখ্যাত মাফিয়া ডন রঘুরাজপ্রতাপ সিং ওরফে রাজা ভাইয়া। অন্যদিকে চিত্রকূট জেলার কারভি বিধানসভা কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জনতার দরবারে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন পুলিশি অভিযানে নিহত দস্যু-সর্দার দাদুয়ার ছেলে বীর সিং।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদ (ফারুকাবাদ-সদর), বিজেপি সাংসদ লালজি ট্যান্ডনের ছেলে আশুতোষ ট্যান্ডন (লখনউ-উত্তর) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত নরেশ আগরওয়াল নিজের ছেলে নিতিনকে হারদই-সদর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী করছেন।

উত্তরপ্রদেশের জনতা আগামী ৫ বছরের জন্য রাজ্যপাট পরিচালনার দায়িত্ব কাদের হাতে তুলে দেবে ৬ মার্চ তা জানা যাবে। তবে প্রথম দফায় প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও ভোটদানে মানুষের উৎসাহ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে সন্তোষজনক ভোটের হার থেকে ফলের দিশা সম্পর্কে একটা আগাম আঁচ পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

রাজ্যে পরিবর্তনের একটা চোরাস্রোত বইছে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে মিডিয়া। যদিও মায়াবতীর মুলুকে অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টরের ফসল কোন দল ঘরে তুলবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ পর্যায়ে ১১ জেলার ৫৬ আসনের ভোট তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।