কলকাতা: ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম সিপিএমের ডাকে কলকাতার ঐতিহাসিক বিগ্রেডে প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে সমাবেশ।
জেলা থেকে অনেক মানুষ সভায় যোগ দিতে শনিবারই এসে পৌঁছেছে।
শনিবারই সিপিএমের ২৩তম রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ৮০০ প্রতিনিধি এতে অংশ গ্রহণ করে।
রোববার দুপুর ১টায় মঞ্চে গণসংগীতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
এতে ভাষণ দেবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরোর সদস্য সাবেক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ আমিন প্রমুখ।
রাজ্যে পরিবর্তনের পর কত মানুষ বাম রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তার কিছুটা হলেও প্রমাণ পাওয়া যাবে এ জনসভায়। ডাই-হার্ড সমর্থকদের পরীক্ষা অসময়েই পাওয়া যায়। কারণ এসময় আন্দোলন জোরদার হওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে জ্যোতি বসু বিহীন সংগঠনটির এই জনসভায় দলীয় সমর্থকদের ব্যাপক পরিমাণে হাজির করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, বিরোধী আসনে বসে বিগ্রেডে সমাবেশ করা সহজ নয় তা বুঝতে পাড়ছে সিপিএমের সমর্থকেরা। সকালে হুগলীর আরামবাগ ও খানাকুল থেকে দলের সমর্থকরা সমাবেশে আসতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বাসে। এতে ৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
অপরদিকে, বিগ্রেড সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে দু’টি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়ায়। একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৬নং জাতীয় সড়কে লিলুয়ায় অপর দুটি বাসকে ধাক্কা দিলে ২৫-৩০ জন আহত হন। তাদের হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া অপর ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনিতে। সেখানে ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২