ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তিস্তা-ফারাক্কা-ছিটমহল নিয়ে মনমোহন-মমতা বৈঠক বুধবার

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২
তিস্তা-ফারাক্কা-ছিটমহল নিয়ে মনমোহন-মমতা বৈঠক বুধবার

কলকাতা: জাতীয় সন্ত্রাসদমন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

মঙ্গলবার দিল্লি রওনা হচ্ছেন তিনি।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, ফারাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে অতিরিক্ত পানি প্রবাহসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

নানা বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্য নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। বাজেটের আগে এ বিষয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
চলতি মাসের ২৯ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং যাচ্ছেন তিনি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ক্ষোভ দূর করতে দ্রুত জিটিএ চুক্তি বাস্তবায়িত করা তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
 
জাতীয় সন্ত্রাসদমন কেন্দ্র রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও তাকে সমর্থন করেছেন। এই বিষয়টি ছাড়াও তিস্তা চুক্তি, বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে তার।
   
ফারাক্কার পানি নিয়ে মমতা যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, সেই যুক্তি ঠিক বলেই মানছে কেন্দ্র সরকার।
ভারতের জাহাজ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি’ আগেই কেন্দ্রকে জানিয়েছিল। কিন্তু পানিসম্পদ মন্ত্রক নড়াচড়াই করেনি। দুই মন্ত্রকের সমন্বয়ের এই অভাবে বাংলাদেশ যে বেশি পানি পেয়েছে শুধু তা নয়, কলকাতা বন্দরও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এখন গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে মমতার সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ফারাক্কায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। তারা ফিরে এসে রিপোর্ট দেবে।

তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নিয়েও মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। কেন্দ্রের যুক্তি হলো— তিস্তা-চুক্তি না হলেও বাংলাদেশ কিন্তু তিস্তার পানি পাচ্ছে। নদীতে পানি থাকলেই বাংলাদেশ পানি পাবে। বরং ঠিকমতো চুক্তি রূপায়ণ হলেই কে কত পানি পাবে, তা ঠিক হবে। তাতে আসলেই লাভ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।