ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাড়ছে করোনা, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
বাড়ছে করোনা, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে

কলকাতা: ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও অব্যাহত করোনা সংক্রমণ। দেশটিতে সংক্রমণের নিরিখে প্রথমস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র।

তারপরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। এরপর রয়েছে দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট।  

বুধবার (৫ জানুয়ারি) এ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল। একইসঙ্গে যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, দেশটির জেলাভিত্তিক শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪পরগনা।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২২ জন, মৃত ১৭ জন। রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গেই বেড়েছে কলকাতার কোভিড গ্রাফ। শহরে একদিনে শনাক্ত ৬ হাজার ১৭০ জন। এরপরেই উত্তর ২৪ পরগনায় ২ হাজার ৫৪০ জন।  

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গে ছিল নয় হাজার, প্রাণ গিয়েছে ১৬ জনের। অর্থাৎ শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে বুধবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত পাঁচ দিনে পশ্চিমবঙ্গে শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি।
 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির ২৮টি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পাশাপাশি এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের একদিনে শনাক্ত ৫৮ হাজার ৯৭ জন। মৃত ৫৩৪ জন। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই আতঙ্ক ওমিক্রন সংখ্যা বৃদ্ধি ঘিরেও।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৫ জন। ওমিক্রনের হার সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। রাজ্যটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৫৩ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে দিল্লি ৪৬৪ জন, কেরালা ১৮৫, রাজস্থান ১৭৪, গুজরাট ১৫৪, তামিলনাড়ু ১২১ ও পশ্চিমবঙ্গে ২০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে চলছে করোনার কড়াবিধি নিষেধ। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্য়ন্ত চলছে নাইট কারফিউ। সঙ্গে বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। এলাকায় এলাকায় করা হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন। এখনও অবদি শহরে ৪৮টি এলাকায় এই জোন বানানো হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি চলছে তাতে জানুয়ারির মাঝামাঝি ৩০ থেকে ৪০ হাজারের বেশি দৈনিক শনাক্ত হবে। সে পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ লকডাউনের দিকে যেতে পারে। এমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।