কলকাতা: ৬০তম শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিনম্রভাবে উদযাপিত হলো কলকাতায়।
মঙ্গলবার কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সকাল সাড়ে ৬টা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত উপ হাইকমিশনার তারেক মহম্মদ আরিফুল ইসলাম।
সকাল ৭টায় কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে প্রভাত ফেরি বের হয়। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে শেষ হয়।
এরপর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু, রবীন্দ্র ভারতীর সাবেক উপাচার্য কৃপাসিন্ধু দাশ, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় দে, নেতাজী রিসার্চ ব্যুরোর পক্ষে সাবেক এমপি কৃষ্ণা বসু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এচ এম মুস্তাফিজুর রহমান।
সকাল ৮টায় শুরু হয় আলোচনাসভা, অনুষ্ঠানে প্রথমেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাণী পাঠ করে শোনান কাউন্সেলর মহম্মদ আনিসুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পাঠ করেন সৈয়দ তারেক হোসেন, কাউন্সেলর স্পোর্টস অ্যান্ড এডুকেশন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মণির বাণী পাঠ করনে কাজী মোস্তাক জহির প্রথম, সচিব প্রেস। এরপর হয় আলোচনা সভা।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের আয়োজনে হয় রক্তদান শিবির। এতে ৩০জন রক্তদান করেন।
ভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতা শহরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশির মঞ্চে কলকাতা ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার ও সুচেতনা একাডেমি যৌথভাবে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটিতে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাসগুপ্ত, বিভাষ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষ, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাই কমিশনার তারেক মহম্মদ আরিফুল ইসলাম।
গানে ও কবিতায় শহীদদের স্মরণ করেন কবীর সুমন, শ্রাবনী সেন, উপালী চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ঘোষ, গৌরি ঘোষ, জগন্নাথ বসু, উম্মিমালা বসু, কৌশিক সেন প্রমুখ।
এদিন, ভাষা দিবস উপলক্ষে আলিপুর সংশোধনাগার এবং মহিলা সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে একটি আর্ট ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে। ওয়ার্কশপে অংশ নেন ১৮ জন বন্দি।
এতদিন জেলের মধ্যেই এ ধরণের ওয়ার্কশপ হতো। এই প্রথম জেলের বাইরে এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হল। বন্দিদের হাতে ক্যানভাস তুলে দেন রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২