কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ প্রতিটি জেলা শহরে, প্রত্যন্ত গ্রামেও মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ পার্কে ও ভাষা শহীদ উদ্যানের অনুষ্ঠানে গান কবিতায় অংশ নেন মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, সুনীল গাঙ্গুলি, চিত্র লাহিড়ী, শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক দ্বারভাঙা হলে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাংলা ভাষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহউপাচার্য মমতা রায় প্রমুখ।
কলকাতা প্রেসক্লাবে অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব ও জাতীয় সংহতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও ওই সংগঠনের ইদ্রিশ আলি।
বড়িশার তরুণতীর্থ আয়োজন করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে প্রভাত ফেরী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে একুশের প্রথম প্রহরে ‘একুশে’ সংস্থার পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিল করা হয়। এই জেলারই হাসনাবাদে খড়মপুর কাঠুরিয়া পাড়ায় আমতলা সাহিত্য সম্মিলনী নানা অনুষ্টানের আয়োজন করে।
বাঁকুড়ায় জেলার ২০টি স্থানে অলচিকি ভাষায় পড়ানোর দাবিতে পথ অবরোধ করে সাঁওতাল শিক্ষার অধিবার মঞ্চ। তারা ভাষা দিবসের দিনটিতেই এই কর্মসূচী পালন করেন।
সংগঠনটির সদস্য অনু সোরেন বলেন, ‘আজকের দিনটির তাৎপর্য কথা ভেবেই এই আন্দোলন। সরকার পথ অবরোধ চলাকালীনই আমাদের দাবি মেনে নেয়। ’
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের ইউথ লার্ভাস এ্যাসোসিয়েশান এদিন ভ্রাম্যমান বাংলা গানের অনুষ্ঠান করে শহর জুড়ে।
পুরুলিয়া জেলায় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয় রাঁচি রোডের কার্যালয়ে। শহরের ঋষি নিবারণচন্দ্র পার্কে অনুষ্ঠান করে ভাষা শহীদ স্মারক কমিটি।
বর্ধমানের কাটোয়া কলেজের সামনে ভাষা বাগানে ভাষা স্মারকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে সরকারি ভাবে অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
হুগলি জেলার চুচুড়াতে সরকারি ভাবে রবীন্দ্রভবনে ও আসনবাজারে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটি দিনটিকে পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২