ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বাংলাদেশের নতুন ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
কলকাতায় বাংলাদেশের নতুন ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব   আন্দালিব ইলিয়াস ও তৌফিক হাসান

কলকাতা: কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্বে এলেন আন্দালিব ইলিয়াস। মিশনপ্রধান হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম দায়িত্ব।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) থেকেই মিশনপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ‘ডিজি’ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। তবে প্রয়োজনে জেনেভা, ফিলিপাইনস, নিউইয়র্ক, বেলজিয়ামের মতো দেশের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ হাইকমিশনে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মিশনপ্রধান হিসেবে আন্দালিব বলেন, কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক দপ্তর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এই মিশনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। বিদেশের মাটিতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা এই ভবনে উঠেছিল। দুই বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য সব এক। ফলে এখানের দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছেই এক আলাদা অনুভুতি।

এর আগে দু’বার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। তবে কোনোবারই শহরটাকে সেভাবে দেখা হয়নি। বাবার চিকিৎসার জন্য ১৯৯৬ সালে প্রথম কলকাতায় আসেন। এরপর ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতার সফরসঙ্গী হিসেবে একদিন ছিলেন কলকাতায়।  

তবে আন্দালিব ইলিয়াসের আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সন্তান। লেখক হিসেবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কলকাতায় খুবই পরিচিত নাম। তাঁর লেখা চিলেকোঠার সেপাই এবং খোয়াবনামা পড়েনি এমন পাঠক সংখ্যা শহরে খুব কম। অবশ্য আন্দালিব ইলিয়াস নিজে লেখালেখির জগতে না থাকলেও রবীন্দ্র সংগীত অন্তপ্রাণ। নিজেও সময় পেলে চর্চা করেন।

অপরদিকে, বিদায় নিলেন এই চেয়ারে দায়িত্বে থাকা তৌফিক হাসান। গত সাড়ে চার বছর তিনি কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৌফিক হাসান বলেন, একজন বাঙালির কাছে বাংলাদেশ এবং কলকাতার কোনো ভিন্নতা নেই। আমি এখানে থেকে কখনো উপলব্ধি করিনি যে দেশের বাইরে আছি।

তাঁর সময়কালে ২০১৮ এবং ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। পাশাপাশি সম্পূর্ণ মুজিববর্ষে কলকাতায় নানা দায়িত্ব পালন করেছেন তৌফিক হাসান। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার। যেখানে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা এবং তাঁকে নিয়ে লেখা প্রচুর বইয়ের সম্ভার আছে। যা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন শহরবাসী। পাশাপাশি মিশন প্রাঙ্গণে গড়ে তুলেছেন, বাংলাদেশ গ্যালারি, বঙ্গবন্ধু মঞ্চ এবং চিরঞ্জীবী মুজিব শিরোনামে ব্রোঞ্জের বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য। এছাড়া তাঁর সময়কালে কলকাতার শেষ বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ নাম ঘোষণা, সল্টলেকে বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারসহ নানা কাজের সাক্ষী ছিলেন তিনি।

তবে কিছু কাজ শুরু করেও সময়ের কারণে সম্পূর্ণ করে যেতে পারলেন না। তার মধ্যে, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলাদেশ গ্যালারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও করোনার কারণে সে কাজ এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা এবং সোমবার (৪ এপ্রিল) গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্যচিত্রের শুটিংয়ের মহরতে উপস্থিত থাকতে পারলেও তা শেষ হবে জুন মাসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২ 
ভিএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।