ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামুলক বিমানবন্দরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামুলক বিমানবন্দরে

কলকাতা: চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই, ভারতে গত একদিনে নতুন করে সাত হাজার ২৪০ জনের করোনাভাইরাসের শানক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

আগের বারের মতো দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বাড়ছে। রাজ্যটিতে একদিনে ২ হাজার ৭০১জনের শরীরে নতুন করে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এরপরই আছে কর্ণাটক, কেরালা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। তবে পশ্চিমবঙ্গে মুত্যু না হলেও একদিনে সরকারি ভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৫ জনের।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড় যাওয়ার জেরে ভারতে ফের বিমানযাত্রীদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি কোনো যাত্রী মাস্ক না পরে উঠলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।  

বুধবার (৮ জুন) এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)। শুধু বিমানের ভেতরেই নয়, বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে গেলেও মুখে থাকতে হবে মাস্ক। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পর এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে ডিজিসিএ।

ডিজিসিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারবার সতর্ক করার পরও কোনো বিমানযাত্রী যদি কোভিডবিধি না মানেন, তাকে বিমান থেকেও নামিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সংস্থাটির বক্তব্য, মাস্কহীন যাত্রীদের বিমানবন্দরকেই মাস্ক দিতে হবে। করোনাবিধি পালনের জন্য সতর্ক করতে হবে। এরপরেও কোনো বিমানযাত্রী কোভিডবিধি মানতে অস্বীকার করলে জরিমানা করা হবে অথবা তুলে দেওয়া হবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ভারত থেকে এখনো করোনা মহামারি বিদায় নেয়নি। ফলে কোনও বিমানযাত্রী যদি কোভিডবিধি মানতে অস্বীকার করেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বা ডিজিসিএ-এর গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধনম ঘেব্রেইয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, অনেক দেশ তাদের করোনাভাইরাস প্রটোকল শিথিল করেছে। তবে মনে রাখতে হবে মহামারি এখনও শেষ হয়নি। টেড্রোস জানিয়েছেন, ৬৮টি দেশে এখনও তাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের টিকাকরণ বাকি রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
ভিএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।