কলকাতা: সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের বাগেরহাটের রামপালে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন ভারতের পরিবেশবিদরা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ও সুন্দরবনের সীমানা থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে তৈরি হতে চলেছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ প্রকল্প।
গত বছর ২০১১ সালে এনটিপিসি ফিসিবিলিটি রিপোর্ট (সম্ভাব্যতা যাচাই) জমা দিলেও পরিবেশের ওপর প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্ট বা এনভায়রমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট জমা দেয়নি। তার আগেই জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে বলে বাংলাদেশে।
কলকাতার পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. তপন সাহা এ বিষয়ে কলকাতায় বাংলানিউজকে বলেন,
এই তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে বিপুল কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও ফ্লাই অ্যাস নির্গত হবে। এ প্রকল্পের উষ্ণ পানি মিশবে পশুর নদীর জলে। এর ফলে প্রকল্পের বর্জ্যের মাধ্যমে ছড়াতে পারে আর্সেনিক, মার্কারি বা সিসার মতো ক্ষতিকারক মৌল।
তিনি বলেন, দু’পারের সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পার। এর ফলে প্রায় ২০ হাজার জেলের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হতে পারে।
যদিও বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণকারী সংস্থা এনটিপিসি’র দাবি, দূষণের মাত্রা কমাতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তবে তাতেও আশ্বস্ত নন পরিবেশবিদরা।
ড. সাহা বলেন, দুই দেশের সরকার ও পরিবেশবিদরা একযোগে উদ্যোগ নিন সুন্দরবনকে রক্ষা করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১২