ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌবাহিনী, পতাকায় পরিবর্তন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌবাহিনী, পতাকায় পরিবর্তন

ভারত: ভারতের নির্মিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ (আইএনএস বিক্রান্ত) আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ভারতের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী।

পাশাপাশি বদলানো হয়েছে নৌ-বাহিনীর পতাকার ধরণ। তাই আজ (শুক্রবার) ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রণতরীটির শুভসূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এ বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের শক্তি দ্বিগুণ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে টুইটে মোদী লিখেছেন, প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। আজ (২ সেপ্টেম্বর) ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।

মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে তৈরি করা হয়েছে এ বিমানবাহী রণতরীটি। এটি এখন পর্যন্ত বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী। ভারতের আগে মাত্র পাঁচটি দেশ ৪০ হাজার টনের বেশি ওজনের বিমানবাহী রণতরী তৈরি করেছে। আইএনএস বিক্রান্তের ওজন ৪৫ হাজার টন। এটি তৈরিতে ২১ হাজার টনেরও বেশি বিশেষ গ্রেডের ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এবং ২৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫০ কিলোমিটারের বেশি পাইপলাইন ব্যবহার করা হয়েছে তরীটিতে।

এর উচ্চতা ৬১ দশমিক ৬ মিটার অর্থাৎ ১৫ তলা ভবনের সমান। দৈর্ঘ্য ২৬২ দশমিক ৫ মিটার। এ রণতরীতে ২৩০০টি বগি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া রণতরীতে মিগ-২৯ কে ফাইটার এবং কে এ-৩১- এর মত হেলিকপ্টারের একটি বহর মোতায়েন করা হবে। রণতরী থেকে একসঙ্গে ৩০ টি যুদ্ধবিমান চালনা করা যাবে। রণতীরর সর্বোচ্চ গতি ২৪ নট (সামুদ্রিক গতি)। তরীটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি রুপি।

এর বিভিন্ন অংশ ১৮টি রাজ্যে তৈরি করা হয়েছে। রণতরীটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৩ বছর। ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারিতে এ রণতরীর নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের আগস্টে প্রথমবার আইএনএস বিক্রান্ত পানিতে ভাসানো হয়। ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে এটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর আজ (শুক্রবার) নৌবাহিনির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হলো। চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে এতে মিগ-২৯ কে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে।

পাশপাশি এদিন ভারতের নৌবাহিনীর পতাকা থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার (জর্জ ক্রস) চিহ্ন তুলে দেওয়া হলো। এদিন সেই পতাকার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী সেন্ট জর্জ ক্রসের চিহ্ন ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায়। এবার তা তুলে দিয়ে পতাকায় যুক্ত করা হলো ছত্রপতি শিবাজির রাজমুদ্রার চিহ্ন।

পতাকার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার গোলামির চিহ্ন থেকে মুক্তি পেল নৌসেনার পতাকা। যদিও ১৯৫০ সালের পর থেকে এ নিয়ে চারবার নৌবাহিনীর পতাকার রঙ এবং ধাঁচের পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ০২, ২০২১
ভিএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।