ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনায় আপ্লুত অপু

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনায় আপ্লুত অপু

কলকাতা: দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাংলাদেশি অপু বিশ্বাসকে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে সংবর্ধনা দিল কলকাতায় অবস্থিত ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব।  

‘উৎসবের রঙে অপুর সাথে’- শিরোনাম সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সম্মাননা পেয়ে আপ্লুত অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাকে এত বড় সংবর্ধনা দিয়েছেন সেটা আমি পাওয়ার কতটা যোগ্য তা আমি নিজেও জানি না। সেই জায়গা থেকে দেড় ঘণ্টা কখন কেটে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না। মনে হলো আমি বাংলাদেশের একটা টুকরোর মধ্যে বসে ছিলাম। কলকাতার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।  
তিনি আরও বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি, আপনাদের দেওয়া সাম্মানিক সদস্য পদ পেয়ে। এখন তো আমিও ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের একজন সদস্য হয়ে উঠলাম। আমার তরফ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই জানাবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অপুকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী। উত্তোরীয় দিয়ে সম্মান জানান ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। মানপত্র তুলে দেন ক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার। অপু বিশ্বাসের নামাঙ্কিত স্মারক তুলে দেন ক্লাবের সম্পাদক শুভজিৎ প্রতিদুণ্ডু ও সহ-সভাপতি সত্যজিৎ চক্রবর্তী। এর সঙ্গে কলকাতার ঐতিহ্যশালী মিষ্টি তুলে দেন ক্লাবের ট্রেজারার দীপক দেবনাথ। এসময় কলকাতার রসগোল্লা নিজে খেলেন এবং খাওয়ালেন সবাইকে।

এদিন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের পরনে ছিল নীল রঙের টপ ও কালো রঙের টাউজার। যদিও সময়ের অনেকটা পরেই ঢুকে ছিলেন অপু। ঢুকেই তিনি বলেন, আমার একটু দেরি হয়ে গেল। কারণ ছেলেটাকে একটু সময় দিচ্ছিলাম। এরপরই বলেন, আমি আসলেই লাকি। ভালোবাসা সবাই পায় না। ভালোবাসা পাওয়ার ভাগ্য লাগে।

অভিনেত্রী না হলে কি হতেন-সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে অপু বলেন, অভিনেত্রী না হলে আমার ইচ্ছে ছিল নৃত্যশিল্পী হওয়ার। এছাড়া আমি একটু যুক্তি দিয়ে কথা বলি, সে কারণে ছোটবেলা থেকে আর একটি শখ ছিল উকিল হওয়ার। যদি আমি সিনেমার হিরোইন না হতাম তাহলে অবশ্যই আমি নৃত্যশিল্পী বা উকিল হতাম।

সারাদিন সংসার, সন্তান, শুটিং কিভাবে সময় দাও-অপু বলেন, যে রাধে সে অবশ্যই চুল বাঁধে। আর আমি এমনভাবেই সারাদিন আমার সিডিউল সাজাই। যাতে আমি ব্যস্ত থাকতে পারি। তার মধ্যে অবশ্যই আমার ছেলে আব্রাম খানের জয়েরও লক্ষ্য রাখি।

বিজয় দশমীতে সিঁদুর খেলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন,  ঠাকুরের সামনে যেকোন মানুষ, যেকোন মানুষের জন্য মঙ্গল চাইতে পারে। আমি একজন অভিনেত্রী। একটা ছেলের হাতে সিঁদুরের টাচ করলেই বিয়ে হয়ে যায় ছোটবেলায় আমরা দেখেছি বা শুনেছি আমি অজস্র সিনেমায় করেছি এরকম সিঁদুর পড়া নিয়ে, আমি আমার চরিত্রের মধ্যেই ছিলাম। বাস্তব জীবন পুরোটাই আলাদা আমার স্বামী যদি থাকতো তাহলে আমি স্বামীকে নিয়েই সব জায়গায় যেতাম। আমি অপু বিশ্বাস বলেই এত সমালোচনা, আমি এই বিষয়টাকে উপভোগ করি।

অভিনয়ের বাইরে গিয়ে রাজনীতিতে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিনেত্রী হিসেবে অনেক সুন্দরভাবে রান করছি আমার এখনো সময় দরকার।

শাকিব খান এবং শবনম বুবলির প্রেম, বিয়ে, সন্তান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অপু বিশ্বাস হেসেই উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘এগুলো ব্যক্তিগত বিষয় এগুলো আমি না বললেই ভালো।

ক্লাবের ১৪ই মার্চ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অপুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অপু বলে শুঁটকি ভর্তা থাকলে আমি অবশ্যই আসবো। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওইদিন জমকালো অনুষ্ঠানের সঙ্গে ১৮ রকমের ভর্তা থাকবে কিন্তু শুঁটকি ভর্তাটা মাথায় আসেনি অবশ্যই অপু যখন বলেছে তার ব্যবস্থাও থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।