ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ঠাকুরনগরে মতুয়া মেলা শুরু

বারাসাত করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১২

বারাসাত: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরে শুরু হয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক উৎসব ও মিলনমেলা। বাংলাদেশ থেকে এবারও কয়েক হাজার মতুয়া মেলায় যোগ দিয়েছেন।



প্রতি বছর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে ঠাকুরনগরে এ মেলার আয়োজন করা হয়। ১৯৪৮ সালে ঠাকুরনগরে মেলার সূচনা করেছিলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য প্রমথরঞ্জন ঠাকুর।

তার আগে বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে দেড়শো বছরেরও বেশি সময় আগে মেলার সূচনা করেন প্রয়াত হরিচাঁদ ঠাকুর।

মেলা শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই ঠাকুরনগরে ভিড় শুরু হয়ে যায় ভক্তদের। ধর্মের টানে মুছে যায় পরিচিত-অপরিচিতের গণ্ডি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য তাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না।

ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ভক্তদের মধ্যে মধুমিতাদেবী ও ময়নাদেবী বলেন, ‘এতো দূরে এসেও মনে হয় যেন আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছি। ’

এ বারের মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ও ভিন রাজ্য থেকে আসা ভক্তদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে এ বার পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। ভিড় সামলাতে ট্রাফিক পুলিশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পদস্থ কর্তারা সমস্ত বিষয়টি দেখভাল করছেন।

জেলার তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘আমরা মতুয়া সম্প্রদায়কে ভুলে যাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটন দফতর এ বার মেলায় ২৮টি তোরণ তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে ঠাকুরবাড়ির আরো উন্নতি সাধন করা হবে। ’

বিভিন্ন জায়গায় তৈরি তোরণে দেখা গিয়েছে বড়মা ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। উদ্যোক্তাদের আশা, এ বার মেলায় ২৫-৩০ লাখ ভক্তের সমাগম হবে।

বাংলাদেশ সময: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১২

আরডি
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।