ঢাকা: টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ এবং রিকভার এর মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে রিকভার-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান বেনজামিন জোসেফ মালকা সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় রিকভার-এর প্রধান ব্যবসায় উন্নয়ন কর্মকর্তা আলেজান্দ্রো রানাও উপস্থিত ছিলেন।
রিকভার হলো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যারা কম-প্রভাব রেখে উচ্চ-মানের রিসাইকলড কটন ফাইবার এবং ফাইবার মিশ্রন উৎপাদন করে।
এ সময় বাংলাদেশে টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ এবং রিকভার-এর মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যাতে করে দেশটিকে রিসাইক্লিং এর বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত করা যায়।
তারা বাংলাদেশে রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশের বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, কারণ বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের ৭৫ শতাংশই কটন-ভিত্তিক। এবং বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ টন পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মাত্র ৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে পুনর্ব্যবহৃত হয়।
ফারুক হাসান বলেন, আমরা বাংলাদেশে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প বিকাশের একটি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। টেক্সটাইল বর্জ্য পুনব্যবহারের মাধ্যমে, আমরা কটন আমদানি কমাতে পারি। একই সঙ্গে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফাইবার দিয়ে পোশাক তৈরি করে রফতানি করতে পারি যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প লিনিয়ার ইকোনমিক মডেল থেকে চক্রাকার অর্থনীতির দিকে মোড় নিয়েছে। কারণ, একটি চক্রাকার ফ্যাশন সিস্টেম বাংলাদেশের জন্য কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব তা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য আর্থিক সুবিধাও বয়ে আনতে পারে।
বিজিএমইএ ইতিমধ্যেই গ্লোবাল ফ্যাশন এজেন্ডা, রিভারস রিসোর্সেস এবং পিফোরজি-এর উদ্যোগে ‘সার্কুলার ফ্যাশন পার্টনারশিপ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদে একটি চক্রাকার ফ্যাশন ব্যবস্থায় শিল্পকে রূপান্তরিত করা।
বেনজামিন জোসেফ মালকা বলেন, রিকভার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রিসাইক্লিং শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং দেশটিতে রিসাইক্লিং সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এমকে/এসএ