ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এবার রাজশাহীর গ্রামীণ সড়কেও ঘুরবে অর্থনীতির চাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
এবার রাজশাহীর গ্রামীণ সড়কেও ঘুরবে অর্থনীতির চাকা

রাজশাহী: এবার রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রামীণ সড়কেও ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীজুড়ে ১ হাজার ৬৯৬ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে।

আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য রাজশাহী বিভাগে নতুন এই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই প্রকল্পের মধ্যে ব্রিজ ও কালভার্টও রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ‘রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (সিরাজগঞ্জ জেলা ছাড়া)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। খামার ও অঞ্চলভিত্তিক কৃষি অর্থনীতিকে আরও সহজতর করা এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো প্রাথমিক সেবা সহজ করতে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্প সম্পর্কে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ পরিবহন ও বাজার সেবার স্থায়িত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ পরিবেশ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা অনেকাংশে দূর হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে জীবনযাত্রার মান ও জীবিকার ক্ষেত্র বাড়াতেও অবদান রাখবে।

এলজিইডির রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কে এম জুলফিকার আলী জানান, ১৪০ মিটার সেতুসহ ১৭২.৯ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৬৩৬ মিটার সেতুসহ ৩৬৭.৭৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক ও ৭৬২টি প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছর মেয়াদি সেতুসহ ১ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করছেন তারা। পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের মোট ৫৮টি উপজেলায় ২ হাজার ৮০ দশমিক ৪০ কোটি টাকার এই বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার বলেন, এছাড়াও প্রকল্পটির আওতায় ২৫০ মিটার স্কুল সংযোগ সড়ক, ৩৯৬ দশমিক ৮৩ মিটার কালভার্ট এবং ৩৩ দশমিক ২৮ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রশস্ত করা হচ্ছে ৩২৭ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা। যেখানে ১৭১ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক ও ৪০ কিলোমিটার সড়কও মেরামত করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রামীণ বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ জনপদে উন্নত অবকাঠামো পরিবহন খরচ কমাবে, বিপণন ব্যবস্থার বিকাশ ঘটাবে, কৃষি পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন সুবিধা বাড়াবে, যা এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।