ঢাকা: মানবসৃষ্ট ফাইবার দিয়ে পণ্য তৈরিতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিজিএমইএ এবং ওরলিকনের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ওয়েরলিকন বারমাগের টেকনোলজি হেড অব প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট মার্কাস রিচওয়েইন এবং ওরলিকন টেক্সটাইল ইন্ডিয়ার সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার সুদীপ্ত মন্ডল শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওয়েরলিকন শীর্ষস্থানীয় উচ্চ প্রযুক্তির একটি শিল্প গ্রুপ, যারা বিশ্বে টেক্সটাইল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি এবং মানবসৃষ্ট ফাইবার ফিলামেন্টের সরবরাহকারী হিসেবে সুপরিচিত।
বৈঠকে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্য সংযোজিত পোশাক উৎপাদনে পলিয়েস্টার, নাইলন এবং পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্নের সুতা ব্যবহারের বাজার সম্ভাবনা নিয়েও তারা কথা বলেন।
বৈঠকে টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়িয়ে বাংলাদেশকে রিসাইক্লিংয়ের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রতে পরিণত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ মূল্য সংযোজিত পণ্যের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির পরবর্তী স্তরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) ভিত্তিক পোশাক তৈরি, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তির আপগ্রেডেশনের ওপর জোরালোভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে বৈশ্বিক উদ্যোগসমূহ এবং রিসাইক্লিং শিল্পে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্ব বাজারে পোশাকের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতার কারণে নন-কটন পণ্যগুলোর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই বাংলাদেশ পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে কটন থেকে নন-কটন টেক্সটাইল উপাদানের ওপর নজর কেন্দ্রিভূত করে উচ্চ প্রবৃদ্ধির রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো হাই-এন্ড পোশাক তৈরি এবং টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে ক্রমবর্ধমানভাবে বিনিয়োগ করছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক আরশাদ জামাল (দিপু), পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক তানভির আহমেদ, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক মিজানুর রহমান ও পরিচালক নীলা হোসনা আরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এমকে/এমজেএফ