আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরাও ঋণের কিস্তি পরিশোধে সুবিধা পাচ্ছেন। বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে সার্কুলার জারি করে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, নানাবিধ নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ক্ষুদ্র, বৃহৎ, মাঝারি ঋণগ্রহিতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ বিরূপভাবে প্রভাবিত হওয়ায় ঋণের কিস্তি বিদ্যমান পরিশোধ সূচি অনুযায়ী আদায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে।
এ অবস্থায় ক্ষত্রিগ্রস্ত গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ সহজ করার মাধ্যমে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব দূর করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের যেসব মেয়াদি ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ হিসাব চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত অবস্থায় ছিল, সেসব ঋণ হিসাবের ক্ষেত্রে অক্টোবর হতে ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ওই ঋণ মেয়াদি ঋণ বা লিজ হিসাবসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
অপরিশোধিত কিস্তির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) প্রদেয় হবে।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত ১ বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনঃনির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে।
ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে খেলাপিঋণ হবে।
এ সার্কুলারের মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ের জন্য কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
জেডএ/এসএএইচ