ঢাকা, রবিবার, ৪ কার্তিক ১৪৩১, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লাখাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুল-বাঁধাকপির চাষ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
লাখাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুল-বাঁধাকপির চাষ  ঝুড়িবোঝাই ফুলকপি। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: ধানের পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন। এ মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনীতে ৪০ শতাংশ জমিতে শুধুমাত্র বাঁধা ও ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি।



ফরিদ উদ্দিন জানান, ৪০ শতাংশ জমিতে দুই ধরনের কপি চাষ করতে তার ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছেন। সব মিলিয়ে ৭০/৮০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে ডাঁটা, পুঁইশাক, লালশাক, কচু, ঝিঙে, লাউ ও কুমড়া চাষ করে যাচ্ছি। এবার ৪০ শতাংশ জমির চাষ, বীজ, সার, সেচ ও পরিচর্যা মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিচালিত আইপিএম কৃষক মাঠ স্কুলের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে। আগামীতে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।



উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুধু ফরিদ উদ্দিনই না; এ দুই ধরনের কপি চাষে আরও কয়েকশ চাষি সফলতা পেয়েছেন। এবার লাখাই উপজেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে শাকসব্জি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষের পরিমাণ ১২০ হেক্টর। প্রতিজন কৃষকই এ মৌসুমে ভালো ফলন পেয়েছেন।  

লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, ধান চাষাবাদ এর পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি চাষের এগিয়ে যাচ্ছে লাখাই। এক্ষেত্রে ভালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চাষিদেরকে বিনামূল্যে সার, বীজ ও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে এগুলোর চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।