ঢাকা: সবজির সঙ্গে বাজারে দাম বেড়েছে আদা-রসুনের। এ ছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যসব পণ্যের দাম।
বাজারে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজির। আকার ভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কেজিপ্রতি শসা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা ও করলা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমীন বলেন, শীত ও কুয়াশার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। আর এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে। শীত ও কুয়াশা কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার কমতে পারে সবজির দাম।
নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। দাম বেড়ে রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে চায়না আদা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের আদা-রসুন বিক্রেতা মো. কবির বলেন, আমদানি কম থাকায় আদা-রসুনের দাম বেড়েছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।
বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার কেজি ৬০-৬৫ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।
ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১০-১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা।
বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি ২১০-২৩০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এমএমআই/আরএইচ