ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিতে স্বস্তি আনবে: ডিসিসিআই সভাপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিতে স্বস্তি আনবে: ডিসিসিআই সভাপতি

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সুবিধা অনুমোদন করেছে। এই ঋণের পুরোটা ৪২ মাসে বিতরণ করা হবে।

আশা করা হচ্ছে, এই ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।

তিনি বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণ প্রাপ্তির অনুমোদন বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও পলিসি সংস্কারের শর্তারোপ করেছে। তবে এই ঋণ সুবিধা বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার মনে করেন, এই ঋণ প্রাপ্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে। এমনকি সরকার আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার কঠোর শর্তাবলি প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার সুযোগ পাবে। আসন্ন রামজান মাসে নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে ঋণটি অবশ্যই ব্যবসায়িকদের জন্য স্বস্তি দেবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সাম্প্রতিক মুদ্রানীতিতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঋণের সুদ হারের সীমা শিথিল করা হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা আনয়নে ক্রমান্বয়ে বাজার-ভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নতুন আয়কর আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো করজাল বাড়ানো, যাতে করে দেশীয় রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করা যায়। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে বিদেশি বিনিয়াগ আকৃষ্ট হবে।

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, সরকার অদূর ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট-ঘাটতি হ্রাস এবং কর-জিডিপি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে, অন্যান্য আরও সংস্কার সরকারের বিবেচনাধীন আছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার সকল খাতে সুশাসন নিশ্চিত করবে এবং তা বজায় রাখবে। তিনি সরকারকে এই ঋণের যেকোনো শর্ত সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ আইএমএফ কর্তৃক নির্ধারিত শর্তগুলো প্রতিপালনে এগিয়ে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।