ঢাকা: আগামী বাজেটে কৃষি পণ্যে উৎসে কর কর্তন বন্ধের সুপারিশ করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট-পূর্ব আলোচনায় এমসিসিআই এই সুপারিশ করে।
সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এ সময় এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ ও ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এমসিসিআইয়ের সুপারিশে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৫২ এর বিধি ১৬ ১(বি) অনুসারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে ২ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। পণ্যগুলো হলো, চাল, গম, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, হলুদ, মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, সব ধরনের ফল ইত্যাদি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যে করের বোঝা চাপানোর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতামুক্ত রাখার সুপারিশ করে সংগঠনটি।
ভ্যাট অটোমেশন পুর্নাঙ্গ অটোমেশন করার সুপারিশ করেছে এমসিসিআই। সুপারিশে বলা হয়, ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানি মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দিয়ে থাকে। তবে এই ব্যবস্থায় পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমেশন হয়নি। ই-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এই অটোমেশন ব্যবস্থা হলে গতিশীল হবে ।
এমসিসিআই সভাপতি কর্পোরেট কর নিয়েও সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশের রাজস্ব আসে এ সব বড় করদাতার মাধ্যমে। বিগত অর্থবছরে কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সবক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
বর্তমান বাস্তবতায় হ্রাসকৃত কোম্পানি করহার সুবিধা প্রায়ই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২২ অনুযায়ী নগদ লেনদেনের শর্তাবলীর প্রযোজ্যতার কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। বাংলাদেশে কার্যকরী করপোরেট কর হার অনেক বেশি বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ