ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নাটোরে আম-লিচু পাড়ার দিন ঠিক করে দিল প্রশাসন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
নাটোরে আম-লিচু পাড়ার দিন ঠিক করে দিল প্রশাসন

নাটোর: নাটোর জেলায় কবে থেকে গাছ থেকে আম ও লিচু পারা যাবে, তা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ৮ মে থেকে কাঁচা আঁটি আম (আঁটি বা গুটি আম বলে নাটোরে একটি জাত রয়েছে), ১৫ মে থেকে পরিপক্ক আঁটি আম, ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রাণী পছন্দ ও লক্ষণভোগ, ৩০ মে থেকে ক্ষিরসাপাত, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, ২০ জুন থেকে মোহনভোগ ও আম্রপালি, ২৫ জুন থেকে ফজলী ও হাঁড়িভাঙা, ৫ জুলাই থেকে মল্লিকা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪, ২০ জুলাই থেকে আশ্বিনা এবং ২০ আগস্ট থেকে গৌরমতি আম আহরণ করা যাবে।

 

এছাড় ৯ মে থেকে মোজাফফর জাতের লিচু এবং ২৫ মে থেকে বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচু পাড়া যাবে গাছ থেকে।

রোববার (০৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফল সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিপণন সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।  

সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) হুসনা ইয়াসমিন, আম চাষি মোস্তফা কামাল, নাটোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিটিভির নাটোর প্রতিনিধি জালাল উদ্দিনসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বাগানমালিক ও ফলচাষি, আড়তদার এবং গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য দেন।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, গাছ থেকে ফল সংগ্রহ, বিপণন ও পরিবহনের সব প্রতিবন্ধকতা নিরসন করে ক্রেতা পর্যায়ে নিরাপদ ফল নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। উপজেলা প্রশাসন এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আম ও লিচু উৎপাদক, আম ব্যবসায়ী এবং পরিবহন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখবে। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাগানে কেমিকেলমুক্ত ফল পেতে প্রশাসনিক নজরদারিও অব্যাহত থাকবে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ করে পরিপক্ক ফল প্রাপ্তি, দীর্ঘ সময় ফল সংরক্ষণ, কষের মাধ্যমে পচন রোধ এবং পরে গাছে কুশি বের হওয়ার জন্য বোটাসহ আম পাড়তে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। ব্যাগিং পদ্ধতি অনুসরণ করে নিরাপদ আম প্রাপ্তির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় চলতি বছর চার হাজার ৯১৬ হেক্টর লিচু বাগান থেকে আট হাজার ২০০ টন লিচু এবং পাঁচ হাজার ৭৪৭ হেক্টর আম বাগান থেকে ৮০ হাজার ৪০০ টন আম আহরণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।